অরাজকতা বা ‘বিশৃঙ্খল’ পাবলিক হতে উস্কানি দেয়া;
কিছু মিডিয়ার অর্থলোভি নেতি ততপরতা
গৌতম দাস
১৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৭ঃ ৫৬ সন্ধ্যা
https://wp.me/p1sCvy-58v
বাংলাদেশে রুশ যুদ্ধজাহাজ, আতঙ্ক……
আমরা কী এখন রাশিয়াপন্থী আর আমেরিকান-পন্থী এভাবে বিভক্ত জনগোষ্ঠি হয়ে যাবো??????
নির্বাচন নিয়ে বিশেষ করে আজ নির্বাচনী সিডিউল ঘোষণা করা হবে – এনিয়ে বাংলাদেশ একটা টেনশড বা গুমোট উত্তেজনার মধ্যে আছে।
আর এই সুযোগে সব-মিলিয়ে মানুষের এই শঙ্কিত অবস্থাকে পুঁজি করে কিছু অর্থ কামিয়ে নিবার সুযোগ হিশাবে এটাকে দেখে পথে নেমেছে কিছু মিডিয়া। এটা মূলত এভাবে কারো ঘর পোড়ার মধ্যে আলু পোড়া দিয়ে খাবার চিন্তা – প্রথমত, এটা এক অপরাধী চিন্তা। আর দ্বিতীয়ত এদের মনে রাখা উচিত, এতে নিজের আপন ঘর-প্রতিষ্ঠানও পুড়ে যেতে পারে! এমনকি নিজ সম্পদ ও নিজের জীবনও বিনাশ হয়ে যেতে পারে! ক্ষুব্ধ, উত্তেজিত বা শঙ্কিত মানুষ এর সামনে পড়ে সবকিছুরই বিনাশ ঘটতে পারে। সবকিছুই খেলার বিষয় নয়, সবকিছুই পয়সা কামাবার চান্স হিশাবে নেয়া ও দেখা, এই স্বভাব – এটা আত্মঘাতি!!!
এই সরল বাক্যগুলো আমরা মনে রাখতে পারছি না! আসলে আমাদের কেউ কেউ পারছি না কারণ, আমাদের দু-পয়সার অর্থ-লোভ এতই তীব্র! থিওলজির ভাষায় এসব পরিস্থিতিকেই তারা বলে থাকেন – শয়তানের লাড়া আর আমাদের কেউ কেউ এই লাড়ার মধ্যে পড়েছে অথচ সব হুস সব শিক্ষা তলায় গেছে দশা এইটা!
এভাবে দু-পয়সা কামানোর তীব্র অর্থ-লোভ বাসনা এখন বাংলাদেশের মিডিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ! ইদানিং, তারা এখন মাঠে নেমে প্রকাশ্যেই বলছে তারা খবরের কোন সোর্স বা উৎস বলতে পারবে না। এটা এমন এক ভয়ঙ্কর অপ-জার্নালিজম! এমন মিথ্যা কথার প্রপাগান্ডা করে তারা পয়সা কামাতে চায়; মিডিয়ার হিট বাড়াতে চায়! এই মিথ্যাকথা প্রচারে যার সুবিধা হয় তার থেকে ঠিকা নিয়ে একাজ করতে চায় তাঁরা। এমনই ডেসপারেট অদম্য অর্থ-ক্ষুধা তাঁদের! বাংলাদেশে অনিশ্চিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জনমনে শঙ্কাকে পূঁজি করে ততই এই শ্রেণী লোভি হয়ে উঠছে!
চট্রগ্রামে রাশিয়ান যুদ্ধ জাহাজঃ
চট্রাগ্রামে রাশিয়ান যুদ্ধ জাহাজ নোঙর ফেলেছে! এই হলো কিছু মিডিয়ার কাছে উত্তেজনা তৈরির ইস্যু আর তা নিয়ে ব্যবসা করার – দুটা পয়সা কামানো ইস্যু করেছে কয়েকটা মিডিয়া – কারণ মানুষের মনে নানান ধরণের শঙ্কাকাজ করছে। সেটাকে আরো উস্কে তুলে পত্রিকার হিট বাড়াতে হবে। অতএব এটাকে কাজে লাগিয়ে চান্স হিশাবে নিয়ে আরও ভয় শঙ্কা তৈরি করে মিডিয়ার হিট বাড়াও!
যেসব মিডিয়া একাজে জড়িয়েছে তারা আত্মঘাতি কাজ করেছে! মানুষের মনে শঙ্কা উস্কে দিয়ে হিট বাড়ানোর ধান্দা – এটা অপরাধ! এটা নেতিবাচক কাজ! যারা যারা একাজে শীর্ষ অবস্থানে গিয়েছে আমি আশা করব এই লেখার পরে তারা নিজেদের লোভ নিয়ন্ত্রণ করবেন! আমরা আশা করব এতে তারা নিজেরাও পুড়ে মরবেন সহায় সম্পদ হারাবেন – এদিকটা অনুভব করবেন। বুঝবার শেষ সুযোগটা নিবেন। বলাই বাহুল্য এরা নিজেকে সহ – সাথে আমাদের সকলের জন্য ক্ষতি ডেকে আনবেন। সবচেয়ে খারাপ কথা এতে বাংলাদেশে আমাদের নাম-পরিচয় হয়ে উঠতে পারে উশৃঙ্খল [unruly] পাবলিক! অরাজক, নৈরাজ্য মানসিকতার পাবলিক! এর ইংরাজি শব্দটা হল আনরুলি [unruly]। অনেক সময় যারা একাজ সংগঠিতভাবে রাজনৈতিক ধারা হিশাবে করে এদেরকে মানে তাঁদের কাজকে নৈরাজ্যবাদী বা এনার্কিক [anarchy] কাজ ও চিন্তা বলা হয়! স্বভাবতই উশৃঙ্খল [unruly] পাবলিক বলে খেতাব যা যেকোন দেশের জনগণের জন্য সবচেয়ে নিম্ন-শ্রেণীর খেতাব এটা! পাবলিককে অরাজকতার দিকে ঠেলে দেয়া, আনরুলি করে তোলা এটা সবসময় আত্মঘাতি কাজ! যদিও উপস্থিত জনরোষে-ক্ষোভে এমন হয়ে যেতে পারে! তবুও নিশ্চয় ঈঊ জনরোষের পাবলিকের মধ্যে কেউ কেউ থাকবেন যাদেরকে অরাজক না-হওয়ার দিকে কাজ করতেই হবে।
আর যারা যেসব মিডিয়া এমন উস্কানি তুলে তাঁদের অর্থলোভের কু-ইচ্ছা পূরণ করে করে নিতে চাচ্ছেন – কে জানে তারাও কপাল খারাপ হলে জনরোষের সামনে পরে নিজ জান-সম্পদ সবই খুয়াতেও পারেন!
উপরে বলেছি – জনমনে শঙ্কা উস্কে দিয়ে হিট বাড়ানোর ধান্দা – এটা অপরাধ! এটা নেতিবাচক কাজ! এটাই সেই ভেদরেখা (deparature line)। যারা এই প্রসঙ্গে রিপোর্ট লিখতে চান তাদেরকে চেনার উপায় হল এটাকে ইতিবাচক জায়গায় বসে লিখছেন কিনা!
চট্রগ্রামে রাশিয়ান যুদ্ধ জাহাজ নোঙর ফেলেছে! এর ব্যাকগ্রাউন্ড হল, মূলত রাশিয়ান নেভি বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় এসেছে বাংলাদেশের জন্য না। তারা এসেছিল বার্মার সাথে ঘোষিত এক সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে। বার্মা এখন গত ছয় বছর শেষে আমেরিকার নয়ানীতিতে আমেরিকার এনিমি হয়ে উঠেছে। আমেরিকা-বার্মা এখন এমন পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণে আর এছাড়া রাশিয়া এখন ইউক্রেন যুদ্ধ-পরিস্থিতিতে যারাই আমেরিকারবিরোধী তাঁদের সাথে ঘনিষ্ঠ হবার নীতি নিয়েছে। সেখান থেকেই বার্মার কিছু রাশিয়ান অস্ত্র কেনা ইত্যাদি সবমিলিয়ে তারা উভয় রাষ্ট্র এক যৌথ সামরিক মহড়া আয়োজন করেছিল। গত ২০১০ সালের পর থেকে চীন-আমেরিকা পালাবদলের এই কালে, এশিয়ায় এমন পাল্টাপাল্টি যৌথ সামরিক মহড়ার ঘটনা অনেক বেড়ে গেছে।
তবে কে প্রথম উদ্যোগ নিয়েছে সে প্রসঙ্গে পাশে রেখে আমরা দেখছি – রাশিয়ান বার্মার সাথে তার যৌথ মহড়া শেষে ঐ নৌবহর থেকে মাত্র দুটা আর ছোট জাহাজ বাংলাদেশে নোঙর করেছে। য়ার এতে বাংলাদেশের অফিসিয়াল ভার্সান হল, “এটা বন্ধুত্বপূর্ণ সফর”। প্রথম আলোতে ছাপা হওয়া এনিয়ে উত্তেজনা শান্ত করা বা উত্তেজনা না ছড়ানো বা করার রিপোর্টটা হল “অর্ধশতাব্দী পর চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়ল রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ। এতে বাংলাদেশে রুশ রাষ্ট্রদুত আর চট্টগ্রামে রাশিয়ার অনারারি কনসাল আশিক ইমরান এর বরাতে যে ভাষ্য দেয়া হয়েছে – এর টোন ছিল উত্তেজনা না ছড়ানো; প্যাসিফাই করা বা শান্ত রাখা। আবার আজকের পত্রিকা বাংলাদেশের আন্তঃবাহিনীর বিবৃতির বরাতে লিখেছে এটা শুভেচ্ছা সফর। প্রথম আলোরটা না হলেও আজকের পত্রিকায় আন্তঃবাহিনীর বিবৃতিটা আমাদের গ্রহণ করা আমাদের জন্য ইতিবাচক এপ্রোচে হতে পারত! বেশির ভাগ মিডিয়া তা করে নাই।
হাসিনার জন্য এই রাশিয়ান সফরের পাওনা হল, নিজ নেতা সমর্থকদের মনোবল বাড়ানো যে আমেরিকান চাপের মুখে রাশিয়া আমাদের সাথে আছে – কিন্তু একথা হাসিনা উচ্চারণ করে বলেন নাই। তিনিঅনিয়ন্ত্রিত ছিলেন। কেবল উচ্চারণ না করেও যতটুকু বুঝানো যায় সেখানেই থেকেছেন, যা সুবিধা আসে তা নিয়েছেন।
কিন্তু আজকের (১৫ নভেম্বর) মানবজমিনের কান্ডটা দেখেন, শিরোনাম “বাংলাদেশে রুশ যুদ্ধজাহাজ, আতঙ্ক বাড়াচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ায়। আর কখন এটা ছেপেছে? গতরাতে দশটায়। যখন ইতোমধ্যেই অন্তত দুঘন্টা আগেই টিভি মিডিয়া সহ অনলাইনে খবরই প্রচারিত হয়ে গেছে যে শুভেচ্ছা সফর শেষে চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়ল রাশিয়ার ২ যুদ্ধজাহাজ। মানবজমিনের রিপোর্টে দেখায় যাচ্ছে তা ইউক্রেণীয় ক্যাম্পেইন। অথচ রাশিয়ান জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগের পরও এই নেতি প্রচারণায় মানবজমিনকে নামতেই হবে!!! কেন?
এতে কী আমেরিকা খুশি হবে? মানবজমিন কতবড় আমেরিকার পক্ষের সৈনিক তা দেখানো যাবে????
দুটা বটম লাইন আমাদের মনে রাখতেই হবেঃ
প্রথম বটম লাইনঃ বাংলাদেশের সরকারের সাথে তৃতীয় দেশের স্বার্থবিরোধে সামরিকভাবে রাশিয়া জড়াবে না।
এটাই কোন মিলিটারি এনগেজমেন্টের নুন্যতম বা বেসিক রূল!
এরও আগে, প্রথম কথা বাংলাদেশের সাথে এখন অন্য কোন রাষ্ট্রেরই কোন সামরিক সংঘাত নাই। সামরিক সংঘাত হাতের মোয়া নয়!
বর্তমানে এটা বাংলাদেশের সাথেও নয়, হাসিনা সরকারের সাথে আমেরিকান নীতি-পলিসি অবস্থানের একটা বড় বিরোধ দেখা দিয়েছে। এতটুকুই! যা কোন মাপেই নুন্যতম ভাবেও কোন সামরিক-বিরোধ নয়।
তাহলে এর ভিতরে চট্টগ্রামে রাশিয়ান যুদ্ধ জাহাজ?????
ফাজলামো চিন্তারও একটা সীমা থাকে, নাকি?
ভারতের সাথে চীনের সীমান্তবিরোধে চীন ২০ ভারতীয় সেনা মেরে ফেলেছিল। তাতে কী আমেরিকা ভারতের পক্ষে চীনের বিরুদ্ধে সামরিকভাবে নেমে গেছিল? অথচ ভারত-ইন্ডিয়া দুরাষ্ট্রেরই পররাষ্ট্রনীতি স্ট্রাটেজি চীনবিরোধী!
বাইডেনের আমেরিকা কেন ইউক্রেনকে আড়ালে রেখে রাশিয়ার সাথে সামরিক বিরোধে গেল? সরাসরি রাশিয়ার সাথে আমেরিকা এভাবে বাইডেন আগালো না কেন? দুনিয়াদারি সম্পর্কে নুন্যতম কিছু বুঝাবুঝি আমাদের সবার দরকার। নাহলে একালের মিডিয়া আমাদেরকে সাতবার বেঁচবে! একালের মিডিয়া দুটা পয়সার জন্য এখন সব পারে! হিট-হিট-হিট!!! মিডিয়া মানেই তা হয়ে গেছে যেভাবে পারে হিট বাড়াতে হবে! তাতে মা, বউ, সন্তান সবকিছুকে পাল্লায় তুলতে তারা রাজি!
দ্বিতীয় বটম লাইনঃ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা আমাদের অনেকেরই কাম্য! ও ন্যায়সঙ্গত কামনা! কিন্তু সেজন্য অন্যদেশের স্বার্থে বাংলাদেশকে চীন-আমেরিকা বা রাশিয়া-আমেরিকার যুদ্ধক্ষেত্র বানাতে দিতে পারি না!
আমরা কী এখন রাশিয়াপন্থী আর আমেরিকান-পন্থী এভাবে বিভক্ত জনগোষ্ঠি হয়ে যাবো??? বাংলাদেশকে যুদ্ধক্ষেত্র বানাবো? বটম লাইন মানে যে সীমারেখার নিচে আমরা যেতে পারি না!
উপরের বাক্য নিজেই যথেষ্ট স্পষ্ট করে বলা যে আমরা কতদুর যেতে পারি আর কার পরে আর নয়! ভারতের মিথ্যা প্রপাগান্ডাকে নিউজ বলে ছাপা – এটা একালের কিছু মিডিয়ার আরেক অত্যাচার! চরম অর্থলোভি এক ততপরতা! উদ্দেশ্য মিথ্যা করে বলা যে ভারত এখনও হাসিনা সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য আমেরিকার সাথে কথা বলছে। কোন নুন্যতম প্রমাণ ছাড়াই এই প্রপাগান্ডা বারবার মিথ্যা প্রমাণ হয়ে যাবার পরেও ভারত তাতে থামছে না।এশিয়ায় প্রভাব পড়ে মনে করে কিছু আমেরিকান থিঙ্কট্যাঙ্ক ফেলো এদিকে দেখা যায়। যদিও আজ পর্যন্ত তাঁদের কী ভুমিকা অথবা তাঁদের উপস্থিতিতে আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতিই বা কী অর্জন করল এসবের দেখা নাই! সব খামোখা হয়ে আছে! নিজেদের উপস্থিতি তারা নিজেরাই জাস্টিফাই বা সাফাইযোগ্য করে দেখাতে পারে নাই! তবুওও এরা আছে।
সম্প্রতিকালে দেখছি এরা এইবার ভারতের এসব নোংরা মিথ্যা প্রপাগান্ডার নুইসেন্স দেখতে পেয়েছে। এতদিন পায় নাই। যেন আমেরিকার ভারতের সাথে সম্পর্ক ও পররাষ্ট্রনীতি-পলিসি সম্পর্কে এরা জানে না বা নিশ্চিত না। তাই এতদিন এদিকে দেখে নাই!
কিন্তু এখনও কী এরা দেখতে পেয়েছে ?
মনে হয় না! কেন?
তারা এখন “বাংলাদেশের সরকার কতটা স্বাধীন” – এটা নিয়ে মেতে উঠতে চাইছেন!! যেন এক মহা আবিস্কার করে ফেলেছেন? মানে ভারতের নোংরা মিথ্যা প্রপাগান্ডার নুইসেন্স – এটা কী আমাদের স্বাধীনতার সমস্যা???
এই ফেলো আবার দাবি করে লিখছেন – “নয়াদিল্লিতে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনায় বাংলাদেশের নির্বাচনের প্রসঙ্গ আলোচিত হয়েছে” – এটা তিনি কেমনে জানলেন? ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের দাবি??? তাই!
একজন আমেরিকান থিঙ্কট্যাঙ্ক ফেলো – কীভাবে একাজ করেন? এখানে ফ্যাক্টসটা কী? এটা জানা যদি এক আমেরিকান থিঙ্কট্যাঙ্ক ফেলো হওয়া সত্বেও নিজের আমেরিকান সুত্র থেকেই স্বাধীনভাবে তাঁর নিশ্চিত জানা সম্ভব না হয়, কিংবা কঠিন বা অসম্ভব হয় তাহলে এর ভিতর দিয়ে তিনি আসলে নিজের গুরুত্বই আমাদের জানায় দিলেন। এই আর কী! কিন্তু কোন কামের তিনি তাহলে????
তিনি আবার ডেইলি স্টারের মাহ্ফুজ আনাম এর রেফারেন্সে এসব কথা বলছেন! এটা বেশ মজার না??
কারণ, এই ডেইলি স্টারই প্রথম আলো সহ আরো অন্যান্য মিডিয়ার সাথে মিলে বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের মিথ্যা প্রপাগান্ডার সাগরেদ! হাসিনার কর্মীদের মনোবল বাড়াতে এরা নিয়মিত নুইসেন্স করে প্রচার করে আসছে যে ভারত নাকি হাসিনার পক্ষে আমেরিকার কাছে ততবির করছে – এই জাতীয় নোংরা মিথ্যা প্রপাগান্ডার নুইসেন্স ও অপ-সাংবাদিকতা করার ক্ষেত্রে ডেইলিস্টারও আরেক শিখন্ডি! অথচ এরাই এখন বলতে চাচ্ছে ভারতের এসব অপততপরতার মুখে “বাংলাদেশের সরকার কতটা স্বাধীন”-এরা এনিয়েই নাকি এখন মহা চিন্তিত!
অদ্ভুত এই ফেলো এরা আবার IRI বা RRI এর বরাতে কথা বলেন! যারা আমেরিকান রিপাবলিকান হলেও বাংলাদেশে ভারত থেকে পরিচালিত হয়! যারা ২০১৮ সালে জরিপ করে বলেছিল হাসিনা জিতবে। এবারও বলেছে, ৭০% লোক নাকি হাসিনার কামকাজ ততপরতাকে অনুমোদন দেয় [70% Bangladeshis approve of PM Hasina’s performance: IRI survey] । তাহলে মানে কী, এই ফেলো এরা ভারতের পক্ষের লোক?? প্রগতিশীল?? আমরা বিভ্রান্ত!!!
সর্বশেষ আপডেটঃ ২০২৩,
গৌতম দাস
রাজনৈতিক বিশ্লেষক
goutamdas1958@hotmail.com

