ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বাংলাদেশ সফর!
গৌতম দাস
১০ ডিসেম্বর ২০২৪ সকাল ১১ঃ ২৭
https://wp.me/p1sCvy-5ZV
ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বাংলাদেশ সফর!
ইন্ডিয়ার পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি [Vikram Misri] একদিনের জন্য গতকাল ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। হাসিনার পতনের ঠিক চার মাস পরে মোদি সরকার সরকারিভাবে কোন প্রতিনিধি এই প্রথম বাংলাদেশে পাঠালেন। হাসিনা উতখাতের পরে এই চার মাস মোদি যে বাংলাদেশ নীতি-পলিসি নিয়ে চালিয়ে গেছেল সেটাকে বলা যায় নয়া ইউনুস সরকারকে
১। স্বীকার না করতে চাওয়া, বা-হাতে ফুল দিবার মত করে যতটুকু স্বীকার ও ব্যবহার না করলে নয় সেভাবে থাকা।
২। বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন হচ্ছে বলে আকাশ-বাতাস কাঁপায় ফেলা; সেটা এমনই চড়া মিথ্যাভাবে যে সেটা আন্তর্জাতিক জরিপেও মিথ্যা প্রপাগান্ডায় ইন্ডিয়াকে একনম্বর বানায় ফেল। তবু মোদি বেপরোয়া…
৩। বাংলাদেশের ইতিহাসে হিন্দুরা সবসময়ই শুধু হিন্দু হিসাবে মিছিল করে নাই, নিজেকে হাজির করে নাই। করেছে আওয়ামি লীগ পরিচয়ে নয়ত কমিউনিস্ট বা প্রগতিশীল, নয়ত সংখ্যালঘু বা (মুসলমান বাদে) হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীশ্চান ইত্যাদি বলে ধর্মীয় জোটের মধ্যে থেকে, শাহবাগী বলে এরকম একটা না একটা আড়ালে, অন্য কারো সাথে অন্যের ব্যানারে মিশে থেকে এভাবে। কিন্তু এবারই প্রথম শুধুই হিন্দু পরিচয়ে বাংলাদেশের হিন্দুরা শাহবাগ পর্যন্ত গিয়েছে, জমায়েত করেছে। শুধু তাই না, বাংলাদেশে এবার আসলে একেবারে পিওর বিজেপির উদ্যোগে তাই ইসকনের (র-এর ভ্যানগার্ড বা আগাম পার্টি) নেতৃত্বেও বা সেজে মিছিল করেছে – বাংলাদেশের মানুষ তা দেখেছে এবার।
[বিজেপি-আরএসএস এভাবে একসাথে বলতে পারলে ভাল হত। কিন্তু গত মে ২০২৪ ইন্ডিয়ান নির্বাচনের সময় থেকে বিজেপি-আরএসএস এর মধ্যে কড়া মনোমালিন্য চলছে এখনও; ঘটনা এতদুর যে আরএসএস গত নির্বাচনে বিজেপিকে সাহায্য করতে সাথে কোন কাজে অংশ নেয় নাই, বিজেপিকে সহযোগিতা করে নাই, কোন ভুমিকা নেয় নাই, প্রভাবও রাখে নাই। তাই মোদির ফলাফল খারাপ বলে সকলের অনুমান এবং তা আরো গোপন রাখা। কিন্তু বাংলাদেশে আরএসএসের মুল নেতা গোবিন্দ প্রামানিকও তাই বাদ – মোদির বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের গল্প-প্রপাগান্ডার কাজ থেকে। শুধু তাই না প্রামাণিক এতে আবার কয়েকটা এর বিরোধী বয়ানের ভিডিও-ও করে ছেড়ে দিয়ে বলেছেন বাংলাদেশে কোন হিন্দু নির্যাতন হয় নাই বলে। এনিয়ে একটা বিস্তারিত লেখা দিবার ছিল কিন্তু এত বেশি ইস্যুর ভীড় জমেছে যে তা আমি পারি নাই। দেখি সামনে পারি কিনা ]
এসবের অর্থ-তাতপর্য কীঃ
এক. শেষ থেকে যদি বলি, বাংলাদেশে মোদির হিন্দু নির্যাতনের গল্প-প্রপাগান্ডার কাজটা এটা মোদি পরিচালনা করতেছেন এককভাবে। মানে হল এটা শুধু খোদ বিজেপি পরিচালিত। আরএসএস এর সাথে নাই। ওদিকে এমনকি প্রত্যক্ষভাবে আওয়ামি লীগকেও সাথে নেয় নাই। যেমন, হাসিনার ১০ নভেম্বর জিরো পয়েন্টের জমায়েতের হুঙ্কার আর শাহবাগে হিন্দু নির্যাতনের গল্প-প্রপাগান্ডার মিছিল ঠিক একই আয়োজক না। প্রথমটা একা হাসিনার আর পরেরটা একা মোদির মানে বিজেপি পরিচালিত বাংলাদেশি হিন্দুদের।
দুই. এর অর্থ হল, হাসিনারা বিনা ব্যানারে বিজেপি পরিচালিত প্রোগ্রামে থাকলে থাকুক! নাইলে না এই ভিত্তিতে। অন্যভাবে বললে, ৫ আগষ্টের পরে বাংলাদেশে যা কিছু হৈ চৈ উত্তেজনা ছড়ানো তা একক হিন্দুদের নামে করা হয়েছিল; কারণ এর পুরাটাই ঠিক হাসিনার যতটা না এর চেয়ে এটা খোদ মোদির বা বিজেপির এজেন্ডা।
তিন. তাহলে কী চায় প্রধানমন্ত্রী মোদি?
হাসিনার উতখাত হয়ে যাওয়াতে লীগ বা হাসিনার যত দুঃখ ব্যাথা এর চেয়েও বেশি দুঃখ ব্যাথা আসলে ইন্ডিয়া বা মোদির রাষ্ট্রস্বার্থের। যেমন, বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য দখলের সুবিধা যা ছিল তা তো ছিলই। বাংলাদেশের (মানে হাসিনার) উপর প্রভাব যেটা দেখিয়ে তার কলোনি আচরণের পররাষ্ট্রনীতি খুব সফল বলে মোদি দাবী করতেন; আর সেটাই ইন্ডিয়াতেই তার বিরোধিদলের কাছে যা আবার ভোট পেতে বিজেপির জন্য একটা বাড়তি দেখানোর ইস্যু হত। আবার চীনের সমান না হলেও মোদি দাবী করতেন বাংলাদেশে তিনি প্রভাব কায়েম করতে চীনের চেয়েও পারদর্শী তাতে ভিতরের ঘটনা যাই হোক! আর সবার উপরে ছিল বাংলাদেশের উপর দিয়ে চারদিক থেকে বিনা পয়সার করিডোর ও বন্দর ব্যবহারের সুবিধা আদায়।
এসব কারণেই হাসিনার উতখাতে লীগ বা হাসিনার ক্ষতির চেয়েও খোদ ইন্ডিয়ার বা মোদির রাষ্ট্রস্বার্থের ক্ষতি অনেক বেশি – অন্তত তা মোদির চোখে। একেবারে বড় মাছটা বড়শি ছিড়ে আবার পানিতে ফিরে চলে যাবার মত হাত কামড়ানো মোদির ক্ষতি! মোদি যা চিন্তাও করেন নাই।
অতএব গত চার মাস মোদি একাই মাঠে নেমে গেছিলেন (লীগ বা হাসিনার পরোয়া না করে) এই ভেবে যাতে হাসিনা নাই তো কী? তার তো হাত গুটিয়ে শোকগ্রস্থ হয়ে বসে থাকা চলে না! বরং নয়া রাস্তা খুঁজে কতটা আগের পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা যায়, একটা “নয়া হাসিনাও” খুজে বের করা যায় কিনা! আর এই কাজে বাংলাদেশের উপর চাপ প্রয়োগ করলে তাতে কী সে কাঙ্খিত এক ‘নয়া হাসিনা’ খুজে পেতে পারে? এর সম্ভাবনা কী ও কেমন? যাতে এরপরের ইউনুস সরকার বা কোন হবু নির্বাচিত সরকার কতটা হাসিনার মতই হবে হওয়া / পাওয়া সম্ভব; যাতে সে দলকেও ভারতের হাতের পুতুল করে ও অনুগত দালাল বানিয়ে রাখা যাবে; এসবেরই যাচাই করতে তিনি মাঠে নেমেছিলেন।
এর রিস্কও অনেক। যেমন, ইতোমধ্যেই গেট খুলে বাংলাদেশকে ডুবাতে গিতে মানে বাংলাদেশের ভারতের অনুগত হওয়া ছাড়া উপায় নাই – এটাই দেখাতে গেছিলেন মোদি। এদিকে হিতে-বিপরীত হয়ে যায়। কারণ, প্রথমে ইউনুস সাহেব বলতে গেছিলেন – ভাই ভারত ভাইয়েরা আপনার গেট খুলার আগে আমাদের একটু বইলেন এভাবে বলে – এই আবদার করে শেষ করতে। কিন্তু ভাটির দেশেরও কমন নদীতে সমান অধিকার এর আন্তর্জাতিক আইন আছে এটা জানতে পেয়ে ইউনুস সাহেব এমন শক্ত ভাবে ইন্ডিয়ার চোখে চোখ রেখে সম- মর্যাদা ও সম অধিকারের কথা তুলে বসলেন যে মোদি বুঝে গেলেন এ’তিনি কাকে লাড়তে এসেছেন!! সেখান থেকেই মোদির বিএনপি ও জামায়াতকে কাছে টানার ততপরতা শুরু; এদের দিকে হাত বাড়ানো আর সবার আগে “রোড ম্যাপ” চাই বলে ইউনুসের কাছে হুঙ্কার ছাড়া!
আর এটাই ছিল আসলে ইন্ডিয়ারও ইউনুসের কাছে দাবী। এনিয়ে বিবিসির রিপোর্ট দেখেন।
এক সাবেক ভারতীয় রাষ্ট্রদুত, ইউনুস সাহেবকে উদ্দেশ্য করে বলছেন – “ড. ইউনূসকে বলব, আপনার সরকারের সাংবিধানিক ভিত্তি কী, সেটাই তো স্পষ্ট নয়! আর আদৌ যদি কোনও বৈধতা থেকে থাকে –সেটানব্বইদিনেরবেশিনয়,আর তাও শুধু নির্বাচন আয়োজনের জন্য!”
“সেই জায়গায় আমরা কী দেখছি, নব্বই দিন কেটে গেছে আর আপনারা দেশ সংস্কারে নেমেছেন! ” (উনি) ইন্টারভিউ দিয়ে বলছেন, তিস্তা সহ অভিন্ন নদীগুলোর পানিবণ্টন হতে হবে সমতা আর ন্যায্যতার ভিত্তিতে।” “আরে বাবা, ভারত আপনাদের সঙ্গে তিস্তা নিয়ে কথা বলতে যাবে কোন দুঃখে?”
এটাই হল উপরে যা বলেছি সে প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান বা মোদির খাস বা মৌলিক অবস্থান। যার অর্থ হল, মোদি ইউনুস সাহেবের সাথে ডিল করবেন না, কথা বলবেন না। স্বীকার করে না বলে ভাব দেখাবে। পাঠকের মনে হতে পারে এমন অর্থ আমি নিজেই বের করে আনছি। না, এমন পাঠকদের অনুমান ভুল। বিবিসির ঐ একই রিপোর্টের আগের প্যারা থেকে এবার তাহলে উদ্ধৃতি দেই। এই একই সাবেক রাষ্ট্রদুত বলছেন,
“……মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী সরকার পূর্ণ মর্যাদায় ও সমানে-সমানে ডিল করবে ‘এটা আসলে আশা করা উচিতই নয়!’।
বাংলাদেশকে নিয়ে ইন্ডিয়ার অপমানসুচক খারাপ মন্তব্য আর কী হতে পারে?? তবু বাংলাদেশের হবু নির্বাচনের বড় দুটা দলের ভারত-প্রীতি যাচ্ছে না।
আর ইউনুস সরকার বা সারা বাংলাদেশের উপর প্রচন্ড ক্ষুব্ধ মোদির এমন পাগলপ্রায় হবার মূল কারণ – গত ০৫ সেপ্টেম্বরে ইউনুস সাহেবের পিটিআই কে সাক্ষাতকার, এটা ইউনুস সাহেবের আমেরিকা সফর (২৪ সেপ্টেম্বর) ও বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে সাক্ষ্যাতেরও আগের। এই ব্যাপারটাকে মোদি-জয়শঙ্কর দেখেন খুবই ঈর্ষাকতর ও ঘিনঘিনে ঘৃণা থেকে। তা এই মনে করে যে আমরা ইন্ডিয়া এতদিন আমেরিকার কোলে বসে ছিলাম থাকতে পারতাম। কিন্তু এই ইউনুস সাহেব এসে তাঁর পুরান পরিচিতি দিয়ে আমেরিকার উপর আমাদের প্রভাব-খাতির সব নাল বা ম্লান করে দিয়েছেন। একারণেই মোদি-জয়শঙ্করের এটা নিয়ে আরেকটা শব্দ হল মেগাফোন-কূটনীতি। এনিয়ে বিবিসির (১৩ সেপ্টেম্বর) আরেকটা রিপোর্ট দেখেন,
ইউনূসের ‘মেগাফোন কূটনীতি’ ভারতের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে
এখান থেকেই মোদি-জয়শঙ্করের ক্ষোভ একেবারে তুঙ্গে উঠেছিল। আর ততই বিএনপি (সাথে জামায়াতও) ভারতের ঘনিষ্ট অংশীদার বা নতুন হাসিনা পাওয়া গেছে এই তোড়জোরের শুরু। আর ততই বাংলাদেশের উপর ইঙ্কন-চিন্ময় দিয়ে চাপ সৃষ্টি এটাই এতদিন চলছিল। কিন্তু কতদিন আর মোদি এমনটা চালাবেন?
এটা “গ্লোবাল বাণিজ্য” চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ার যুগ; এতে যুক্ত হয়ে থাকার যুগ। প্রতি দুই দেশ-রাষ্ট্র তাদের মাঝে রাজনৈতিক যতই ঝগড়া-বিবাদ যাই থাক তাদের মধ্যে আন্তঃরাষ্ট্রীয় বাণিজ্য থাকবে এবং তা চালু রাখতেই হবে। যার আদর্শ উদাহরণ, চীন-আমেরিকার বাণিজ্য অথবা তাইওয়ান-চীনের বাণিজ্য সম্পর্ক। কথাটা আরেকভাবে বলা যায়, এসব বন্ধ রাখলে সেটা একপক্ষীয় কোন একটা দেশের শুধু ক্ষতি তা হবে না। কমবেশি দুদেশেরই ক্ষতি হবে। মোদির ইন্ডিয়া রাজনৈতিক পরিসবে বৈরীতা ছড়িয়ে রেখেছে। সাথে অর্থনৈতিকও। শুরু করেছে ভিসা কমাতে কমাতে না দেয়া অবস্থায়। ফলাফল? প্রথমে হিন্দুত্ববাদী আবেগ তুলে মিডিয়ায় লোক দেখানো বক্তব্য আমরা হোটেল দিব না, হাসপাতাল সার্ভিস থেকে শুরু করে কোন কৃষি পণ্য রপ্তানি থেকে কিছু বাদ রাখে নাই যে এগুলো আর বাংলাদেশিদের ভোগ-ব্যবহার করতে দিব! আবেগী হিন্দুত্ববাদের জোশ দেখানো তো সহজ কিন্তু কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পেটে টান পড়লে ক্ষুধার বাস্তবতা সবাইকেই ধাওয়া করে! ফলে এখন বাংলাদেশিরা ইন্ডিয়ায় আসেনা কেন সেই হাহাকার! আনন্দবাজারের ভয়-শঙ্কিত রিপোর্ট শিরোনাম ভারতের উপর নির্ভরতা কমাতে চাইছে বাংলাদেশ! আলু-পেঁয়াজ আমদানির জন্য বিকল্প ৬ দেশে নজর ; ফলে বুঝতেই পারছেন ক্ষুধার বাস্তবতা কত কঠিন! একই রকম আরেকটা রিপোর্ট, ‘ব্যান্ডউইথ ট্রানজিট’নয়ভারতকে, হাসিনা জমানার সিদ্ধান্ত বাতিল করে দিল ইউনূসের সরকার; দেখেন এখানে এতে ওরা নিজেই খোড়াখুড়ি করে রক্ত বের করা রিপোর্ট করে শেষে নিজেরাই হতাশা দুঃখে ডুবে যাচ্ছে। এই সুরে প্রত্যেকটা রিপোর্ট।
তাহলে আমাদের উপর চাপ সৃষ্ট করতে গিয়ে নিজেইযে প্রশ্নের মুখোমুখি তা হল পালটা যে চাপ অথবা বাংলাদেশের বাজার হারানো বা ক্ষুধার বাস্তবতা ইত্যাদি এসবর সমাধান কই? আর সেখান থেকেই পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি তার এই বাংলাদেশ সফর। মূল উদ্দেশ্য বুঝার চেষ্টা করা – ইউনুস সরকারের উপর কতটা চাপ পড়লো? নাকি কোনই লাভ নাই, এফেক্ট নাই অথবা উলটা ইন্ডিয়ারই বাজার হারানোর এফেক্ট আসতেছে? অথবা আচ্ছা কিভাবে আগালে দ্রুত একটা রফার রাস্তা পাওয়া যাবে? এককথায় কাউকে চাপ দিতে গিয়ে নিজেই উলটা চাপে পড়া দশা! সব জায়গায় হিন্দুত্ববাদ – বাংলাদেশে এদিকে ইঙ্কন-চিন্ময় আর ওদিকে ভারতে সকল দল ও মিডিয়ায় একই গান – হিন্দু নির্যাতন – তারা নাকি মোদির হিন্দু নির্যাতনের গল্প-প্রপাগান্ডার ভিত্তিতে এসব করছেন। অথচ বাস্তবতাটা হল ক্ষুধার বাস্তবতা, পেট চিনচিন করছে মিথ্যা হিন্দুত্ববাদের আবেগের উপরে! আর বাংলাদেশে পাবলিক লেবেলে (কিছু সিংগঠিত হিন্দু জনগোষ্ঠিও ভারতের এই প্রচারের বিরোধি হয়ে উঠেছে) মোদির হিন্দু নির্যাতনে প্রপাগান্ডা ফিকে উপেক্ষিত হয়ে পড়ছে!
তাহলে, মোদি তাড়াতাড়ি এখন কী পেতে চাচ্ছেনঃ
এনিয়ে আনন্দবাজারের লেটেস্ট গতকালের আরেক রিপোর্টের শিরোনাম ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গেও আগের মতোই সুসম্পর্ক চাই’, ঢাকায় দাঁড়িয়ে দিল্লির বার্তায় সংখ্যালঘু-সুরক্ষাও – এখানে খায়েস একদম পরিস্কার। “আগের মতোই সুসম্পর্ক চাই” – আনন্দবাজার মনে করে বিক্রম মিশ্রি নাকি গতকালকে এত ম্যাসেজটাই দিয়ে গেছেন!!!! মানে মোদির অর্থনীতি বা কলকাতার আর সহ্য হচ্ছে না। সবচেয়ে বড় কথা সেটা কিছু “আগের মতই” মত তাকে “নয়া হাসিনা” সরকার হতেই হবে [সেজন্যই কী ফকরুলের এই মুর্তি দেখছিলাম আমরা, নয়া হাসিনা / ওকা???]; কে জানে!!
কিন্তু না ইন্ডিয়া না বিএনপি বা হবু কেউ সহযোগী “নয়া হাসিনা” কারো ভাগ্যে এত সহজে শিঁকা ছিড়ে পড়ছে না। কিছু ইঙ্গিত বা ম্যাসেজের দিকে আপনাদের চোখ ফিরাই।
দুই পরারাষ্ট্র সচিব দেখা করেছে কথা বলেছেন – অনানুষ্ঠানিক একান্ত বা আনুষ্ঠানিক বা সৌজন্য সাক্ষাত ইত্যাদি সবই। এরপর যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন প্রেস মিটিং করে সব শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এখানে দেখেন একটা বিরাট ব্যতিক্রম। সংক্ষিপ্ত যৌথ প্রেসের পরে আবার আলাদা আলাদা প্রেস মিটিং! কী সাংঘাতিক! এই শেষের অংশ এটা তো আগে বাংলাদেশে দেখি নাই কখনও।
এসবের সোজা মানে হল, দুই পরাওরাষ্ট্র সচিব আসলে সব না হোক কিছু বিষয়ে একমত হতে সভা করেন নাই। তারা আসলে দুই দেশ পরস্পরের সাথে পরস্পরের অবস্থানের পর্থক্যগুলো কী কী তাই আনুষ্ঠানিকভাবে রেকর্ড ও রেজিস্টার্ড করে নিতে এসেছিলেন। মানে একমত হতেই তো আসেন নাই। তাই একমতের কারবার নাই। তাই যৌথ প্রেস মিটিং সেটাও তত গুরুত্বপুর্ণ হয় নাই!
এখন তাহলে, ঠিক কতদুর অবস্থান পার্থক্য বিক্রম মিশ্রি রেকর্ড করে গেলেন? এর জবাবটা যদি আনন্ন্দবাজারি আকঙ্খা যে একটা “নয়া হাসিনা” চাই বা আগের মতোই সুসম্পর্ক চাই তবে –নয়া পরিস্থিতিটা এর ধারেকাছেও নয়। বরং দিল্লি তো আসলেই দূর অস্ত!!
আরেকতা জিনিষ কেউ লক্ষ্য করেছেন কিনা!
গতকাল সমাজের ঢাকার কোনায় কোনায় কান খাড়া করা আম আদমি ছিল যে আত্মসম্মান সচেতন রেখে কথা বলা হচ্ছে ত? আমার এ’এক নতুন অভিজ্ঞতা আমার রাজনৈতিক জীবনে! সারাদিনটা সরকারী অফিস ও কর্তারা জন-দায়বদ্ধতা কথা মনে রেখে দিন পার করেছেন; জনগণ তাদের মনিটরিং করছে এমন অনুভুতি আমি কখনও আগে দেখি নাই!
“ভারতের বরফ গলানো” বিএনপি এর ফকরুল সাহেবঃ
তাহলে এখন “ভারতের বরফ গলানো” বিএনপি এর ফকরুল সাহেব কই এখন? ভারতীয় গলা বরফ খাবেন না? লন্ডনে কেন? বিএনপি নিজের গণবিরোধী কাজ-সিদ্ধান্ত-বক্তব্য এই ফকরুল লোকটাকে দিয়ে হাজির করে বিএনপি দল ও এর সেক্রেটারি ফকরুল উভয়কেই ন্যাংটা করে ফেলেছে – ইমেজ সব শেষ করে ফেলেছে! তাই এখন তাঁকে লন্ডনে তুলে নিয়ে যাওয়া আর দেশে পালটা বিপ্লবী বক্তা এখন রিজভি – যিনি বিএনপি-ফকরুলের গায়ের ময়সা সাফ করবেন? তাই লোক দেখানো ভারতবিরোধিতা ঘেরাও??? আর অদিকে ফকরুল সাহেবেরও আর লন্ডনেই ঘরে বসে থাকতে ভাল লাগছে না। তাই লন্ডনেই শুরু করে দিয়েছেন – কেউ কনষ্টিটিউশন বা সংস্কারের কথা তুললেই তিনি ধমক দিয়ে উঠা শুরু করেছেন আপনারা কারা? আচ্ছা আপনি ফকরুল আপনি “ভারতের বরফ গলানো”দেখে খুশিতে লুটায়ে পরা ফকরুল – আপনি কে? সারা বাংলাদেশ যখন দেশের আত্মমর্যাদা রক্ষার কথা ভাবছে তখন আপনি কে? ভারতের ওড়না ধরে দাঁড়িয়ে আছেন থাকলেন? ওকা হয়ে গেছেন, নাকি আরো কিছু?
একই সাথে দুই ধরনের কথা বলা এর চেয়ে বোকা-চিন্তা আর হয় না – এটা চালাকি, কোন রাজনীতি নয়! তবু দুই ধরনের ম্যাসেজ দেয়া বিএনপি – এটা নিয়ে কতদুর যাবেন – যেতে পারবেন? সবাইকে বোকা ভাবা, কেউ কিছুই ধরতে বুঝতে পারবে না এসব পোলাপানি ভাবনা! আজ মুসলীম লীগ বা ভাসানি ন্যাপ কোথাও নাই বললেই চলে, কেন? দুদন্ড একটু চিন্তা করে দেখেন!
আবার যে আপনাকে এসব কথা বলে সতর্ক করবো বা যে করবে তাকেই তো আক্রমণ করাবেন, করবেন? আপনারা কেউই নিজের অর্থ সম্পত্তি বা দল – ভারতের হয়ে ক্ষমতায় যেতে চাওয়া দল হয়ে থাকলে এসবের – কিছুই রক্ষা করতে পারবেন না। চোখের সামনে সব বিলীন হয়ে যাবে! গিয়েছেও আগে! ১৯৪৭ সালের সর্বচ্চ পপুলার দল মুসলীম লীগ পরে মাত্র সাত বছর লেগেছিল ১৯৫৪ সালের মধ্যেই [যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে] তাদের বিলীন হয়ে যেতে!! ভারতের অন্যায় অত্যাচার লুটপাটের দালালকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়া, এভাবে পুনরায় আধিপত্য কায়েমের কদর্য ততপরতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ যেখানে রুষ্ট, বিরক্ত ঐক্যবদ্ধ তখন আপনারা জাস্ট এর উল্টাদিকে হাল বাইতেছেন!!!!
যেকথা বলছিলাম, দুই দেশের সচিব পর্যায়ে দেখা সাক্ষাতেও, তবু ভুল যে হয় নাই তা নয়!
আবার ভাবি এটাই তো সেই ৮ আগষ্টের ইউনুস সরকার! যখন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রি. শাখাওয়াত কিংবা পররাষ্ট্রের তৌহিদ সাব সহ অনেকেই যেন প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন কে কিভাবে ভারত বা হাসিনার লীগ প্রসঙ্গে তেল মেরে তোষামোদে কথা বলতে হয় বা বলতে পারেন! অথচ এখন কত কত বদল! উপদেষ্টারা চাইলেও তোষামোদিতে থাকতে পারছেন না। যদিও একটা খারাপ কথা বলে রাখি! মোদির বিরুদ্ধে মিনমিন থাকা উঠে দাঁড়াতে না পেরেও যারা ভাবছেন বা কেউ যদি ভেবে থাকএন যে এভাবে আপনারা উপদেষ্টার চাকরি ধরে রাখতে পারবেন তারাও ভুল এটাও আরেক স্টুপিড চিন্তা। সবাইকেই উপরে ফেলে দেয়া হয়ে যেতে পারে, সবাই-ই উতখাত হয়ে, বাদ পরে যেতে পারেন [ইউনুসসহ বা ইউনুস বাদ দিয়ে]; যদি মোদির ভারত প্রসঙ্গে দেশ-মানুষের মান-মর্যাদাও ধরে রাখতে না পারেন। বিষয়টা এতই সিরিয়াস আর সময়টা খুবই খারাপ!
আসলে আন্তঃরাষ্ট্রীয় বাণিজ্যে (আমাদের জনসংখ্যা বেশি বলে) আমরা বিক্রেতার চেয়ে ক্রেতা (ভলিউম আকারে) হিসাবে বড়। তাই শুধু আমেরিকা নয় ইইউ-ও আমাদের বাজার চায়! আর ভারত এমনকি চীনও কেউই তো আমাদের মায়ের পেটের ভাই না যে আমাদের কারো প্রতি কোন বিশেষ প্রীতি রাখার দায় আছে। বাণিজ্য অর্থে আমরা সবার – চীন, ভারত (যদি যোগ্য হয়), ইইউ বা আমেরিকা সবার সাথে সম্পর্কিত থাকব। এটা তো কোন পন্থি হবার সময় বা জায়গা নয় এবং তা নাইও! চীনা ঋণ প্রবল দরকারি তা হলেও! একথাটাই ইউনুস সাহেব আগে বাইডেনের সাথে সাক্ষাতে তাদের ব্যাখ্যা করেছিলেন যাতারা আগে শুনেন নাই – বোকার মত অচল ইন্দো-প্যাসেফিক বলে খামোখা দুই ক্যাম্প বানিয়ে ঠেলাঠেলি করে গেছিলেন। আমার ধারণা সেই একই পথে তিনি ইউ-কেও সে ম্যাসেজ দিতে সফল বলেই ইইউ ভুক্ত প্রায় কুড়ি টা দেশের সিরিয়াস ও উচু প্রতিনিধিদের তিনি ঢাকায় এই প্রথম নিয়ে এসে সম্মেলন-বৈঠক করেছেন। আর সেখান থেকেই এই ব্যবসা-কেন্দ্রিক রূট সম্পর্ক থেকেই এই সরকারকে রাজনৈতিক সমর্থন এর বিষয়টা তারাই উচ্চারণ করেছেন। যদিও কুকের মত দু-একজন এখনও বেপথে আছে, ভারতের দালালি এজেন্সি হয়ে দিনযাপন করার পথে আছেন। এরা অচিরেই হবে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশ! যদি না তারা লাইনে আসেন!
এর সোজা মানে হল, হিন্দুত্ববাদের ভিত্তিতে আগানো মোদির বাংলাদেশে চাপ সৃষ্টি এটা কোন কূটনৈতিক পথই না। একদিকে পেটে ক্ষুধা তার অথচ আচরণে ছেচড়ামী!!! আমি তো সত্যিই চাই এই ছেচড়ামো মোদির ভারতের সাথে আমাদের কোন লেনদেনই না থাকুক! যদি রাখতেই চায় তবে তা হতে হবে সম মর্যাদার আর সবক্ষেত্রে সমান অধিকারের! নইলে এই ভারত আমাদের দরকার কী, কোন কাজের???
তবু পররাষ্ট্র সচিব যে বড় ভুলটা কালকে করেছেন তা হল,
“….আমাদের পররাষ্ট্রসচিব আরও বলেন, ‘আমরা বলেছি, তিনি (শেখ হাসিনা) ভারতে বসে যে বক্তব্য দিচ্ছেন, সেটা আমাদের পছন্দ হচ্ছে না।…এটা তাঁকে (শেখ হাসিনাকে) যেন জানানো হয়। তাঁরা (বিক্রম মিশ্রি) বিষয়টিকে আমলে নিয়েছেন”।” আর ভারত বলেছে, Sheikh Hasina’s presence has no impact on relations যার খাস মানে হল হাসিনাকে আমরা রাখবই!
এটাতে বা এখানে পারফরমেন্স ভাল হয় নাই; হীনমন্যতা প্রকাশ পেয়েছে। প্রথমকথা বাংলাদেশ সরকার কেন হাসিনার কাছে ম্যাসেজ পাঠাবে তাও আবার ইন্ডিয়ান পররাষ্ট সচিব কে দিয়ে? কেন? কূটনীতিক আদব-কায়দা স্তাইল রীতি তো আপনাদের জানা থাকারই কথা! হাসিনাকে ইন্ডিয়া “রাজনৈতিক আশ্রয়” বা “আশ্রয়” দিয়েছে! এখন আমার রাষ্টড়স্বার্থ বিরোধী যে ব্যক্তি তাকে আমার পড়শি যদি আশ্রয় দিতেই চাই তবে তা হতে পারে কেবল এক শর্তে। যে আশ্রয় প্রার্থী এড়ওয়ার্ড স্নোডেন! সে আমেরিকা সরকারের অন্যায় কাজ ফাঁস করে দিয়েছিল সে হুইসেল ব্লোয়ার মানে বাশিতে ফু দিয়ে লোক জড়ো করে সব ফাঁস করে দেয়া। পরে তিনি পুতিনের রাশিয়াতে আশ্রয় পেতে হয়েছিল একটাই শর্তে যে রাশিয়ার নসে সে আর কোন হুইসেল মারা নয় বা আমেরিকার সাথে বাকবিতন্ডায় জড়ানো যাবে না! এবিষয়ে স্বেচ্ছায় মুখ বন্ধ রাখতে হবে! কারণ এটা এতটাই সিরিয়াস বিষয় যে এথেকেই হয়ত আমেরিকা-রাশিয়ার যুদ্ধই লেগে যেতে পারে!
তাহলে এই আলোকে বিচার করেন, হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে ইন্ডিয়া। তাই সেই হাসিনা সেখানে বসে বাংলাদেশেরবিরোধী ততপরতা চালাতে পারে না! এটা বন্ধ করার দায়ীত্ব সবার আগে খোদ ইন্ডিয়ার! এটা তো ইন্ডিয়া ভুখন্ডে বসে কাউকে বাংলাদেশের দিকে গুলি ছুড়তে দিবার মত অপরাধের ঘটনা! কাজেই আমরা এটা আমাদের পছন্দ করছি না বলেই থেমে যাওয়া যেত। তাহলেও হত। কিন্তু সেটা না করে – এটা তাঁকে (শেখ হাসিনাকে) যেন জানানো হয় – এটা করে নিজেদেরকেই ছোট করা হয়েছে। ভারতের একটা আচরণ আমাদের পছন্দ করি না, এই অবস্থানের সাথে একমত নই – শুধু একথাটাও যদি ভারতকে কূটনৈতিক ভাবে জানানো না যায় তো এমন পরারাষ্ট্রের দোকান খুলার দরকার কী? আমরা তো ইন্ডিয়াকে কোন হুমকি আকারে বলতে বলছি না। আবার আরেকটা খুব খারাপ দিক হল, এর মানে কী? যে (শেখ হাসিনাকে) যেন জানানো হয় বলে আমরা কী বুঝায় দিলাম যে আমরা ভারতকে বলি নাই হাসিনাকে বলেছি তাই বুঝায় দেওয়া? যাতে ইন্ডিয়া আমাদের উপর যেন ক্ষেপে না যায়? ইন্ডিয়ার একটা কথা বা আমাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে তাদের সাথে আমাদের অবস্থান ভিন্নতা আছে। এটা কেবল নোটিফাই বা উচ্ছারণ করতেই পারব না? কী সমস্যা? এটাই হীনমন্যতা যা অগ্রহণযোগ্য!
এমনকি এই ইস্যুতেই আবার প্রধান উপদেষ্টা ইউনুস সাহেব কিভাবে সামলেছেন। নিচে প্রথম আলো থেকে পুরাটাই তুলে আনছি।
আলোচনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি এখন ভারতে অবস্থান করছেন, তাঁর প্রসঙ্গও উঠে আসে। গত ১৫ বছরের নির্মম ও দুর্নীতিগ্রস্ত স্বৈরশাসনের বর্ণনা করে ভারতের পররাষ্ট্রসচিবকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের লোকজন উদ্বিগ্ন; কারণ, তিনি সেখান (ভারত) থেকে অনেক বক্তব্য দিচ্ছেন। এটা উত্তেজনা সৃষ্টি করছে।’
দুটার ফারাক বুঝার চেষ্টা করেন; পররাষ্ট্র মন্ত্রণালোয়ের সকলের উচিত এখান থেকে শিখা! যাতে জানা যায় আরো কতরকমভাবে সম্মান বজায় রেখে একটা কাজ করা যায়! মানে এভাবেই ইস্যুটা আনা যেত এবং যায়!
- মোদি বা হবু “নয়া হাসিনা” সবাই এখন এই সৃষ্ট ইস্যুতে ক্রমশ ডুবে যাবে!
- যে গভীর ঘৃণার সাগর মোদি তৈরি করেছেন, সেখানেই সকলে ডুবে যাবেন!
- সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশের যে দলই যারা মোদির হাত ধরে ‘নয়া হাসিনা’ হতে গিয়েছিল!
- সহসা কোন “মেঘ” কাটবে না, দূর হচ্ছে না। হিন্দুত্ববাদ ভারতকে ঘৃণার সিড়িতে তুলে দিয়েছে সেখান থেকে নামা কঠিন, অথচ পেটে ক্ষুধার বাস্তবতা! “বিক্রম মিশ্রি সাংবাদিকদের সামনে একটি লিখিত বিবৃতি পাঠ করেন। তিনি সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্ন নেননি”। কেন? নিজের আকাম ও মিথ্যার সব বেলুন ফুটে যাবে, খুলে যাবে? এটা হচ্ছে সেই ইঙ্গিত! মোদি অস্বচ্ছ!
- গতকাল টিআইবি’র ইফতেখারুজ্জামান এর মন্তব্য – “যারা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণের ম্যান্ডেড নেই বছেন এ ধারণা ভুল”। এই মন্তব্য খুবই তাতপর্যপুর্ণ!
- বাংলাদেশ ভারতকে নিয়ে কোন “বাংলাদেশ ক্রাইসিসে” নাই, পড়ে নাই। বরং মোদি এক “বাংলাদেশ ক্রাইসিসে” পড়ে গেছেন!
গৌতম দাস, রাজনৈতিক বিশ্লেষক
goutamdas1958@hotmail.com
আপডেটঃ দুপুর ১২ঃ ০৬ ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
শেষ আপডেটঃ বিকাল ০৫ঃ ৩২ ১০ ডিসেম্বর ২০২৪



Nice
LikeLike