সংসদে সংখ্যালঘুদের আলাদা আসন মানেই আরেকবার দেশভাগ


সংসদে সংখ্যালঘুদের আলাদা আসন মানেই আরেকবার দেশভাগ
গৌতম দাস
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪  রাত ০৯ঃ ৫১
https://wp.me/p1sCvy-62P

 

 

সংসদে সংখ্যালঘুদের জন্য আলাদা আসন দাবি করা বা দিতে রাজি হয়ে যাওয়া মানেই আরেকবার দেশভাগ বা ১৯৪৭ সালের অভিজ্ঞতা। না-বুঝে, যথেষ্ট পড়াশুনা না করে ফটাফট এমন লুজ মন্তব্য করে অনেকে এটাকে নিজেকে উদারতা ও ভারতপ্রিয় হিসাবে তুলে ধরতে চাওয়া মনে করছেন – এটা একটা চিন্তার স্টুপিডিটি। এটা বাংলাদেশের সকল জনগোষ্ঠিকেই আরেকবার বিশাল রক্তপাতের মধ্যে ফেলে দেয়াই হবে।
বিস্তারিত বলার আগে কেবল সংক্ষেপে মনে করিয়ে দেই যে  বৃটিশ-ইন্ডিয়াতে বেঙ্গলে দুবারই কেবল প্রাদেশিক নির্বাচন হয়েছিল ১৯৩৭ ও ১৯৪৬ সালে; বিশ্বযুদ্ধের পরিস্থিতিতে ১৯৪২ সালে দ্বিতীয় প্রাদেশিক নির্বাচনটা হয় নাই। ঠেলতে ঠলতে সেটাই হয়েছিল ১৯৪৬ সালে। আর ১৯৪৭ সালে দেশভাগ। পাকিস্তানে মানে পুর্ব-পাকিস্তানে মুসলমান ১৯৪৬ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে নির্বাচিত সদস্য এদেরকে নিয়েই পুর্ব-পাকিস্তানের প্রাদেশিক সংসদ বসেছিল [এখনকার জগন্নাথ হল ঢাবিতে; যদিও সেই বিল্ডিং বা প্রাক্তন সংসদ ভবন অংশ এরশাদের আমলে ১৯৮৫ সালে ভেঙ্গে পড়ে প্রচুর ছাত্রের মৃত্য হয়েছিল। যেটা এখন অক্টোবর স্মৃতি ভবন।]

ধর্মভিত্তিক প্রার্থী ও ভোটার  নির্বাচন ব্যবস্থাঃ    
প্রশ্ন হল, কিসের ভিত্তিতে এত সহজে  ১৯৪৬ সালের নির্বাচনে বিজয়ীদেরকে নিয়ে পুর্ব-পাকিস্তানের প্রাদেশিক সংসদ বসানো গেছিল?
এর মূল কারণ, ঐ দুই প্রাদেশিক নির্বাচন (১৯৩৭ ও ১৯৪৬) দুটাই হয়েছিল হিন্দু ভোটারেরা হিন্দুদের আর মুসলমান ভোটারেরা মুসলমান প্রার্থীদেরকেই কেবল ভোট দিতে পারবে – এই নিয়মেই নির্বাচন দুটাই অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

এই ইতিহাস একালের প্রজন্মের জানা নাই বা খুব কম মানুষই জানেন। পুরানা যারা সেকালের তারাও যারা পাকিস্তান হওয়ার পরে জন্ম তারাও জানেন কিনা সন্দেহ; যদিনা তিনি ইতিহাস ঘেটে জেনে থাকেন!  সরাসরি বললে এটাই, র্মভিত্তিক প্রার্থী ও ভোটার নির্বাচন ব্যবস্থা  । আর এটা চালু হয়েছিল মুসলিম লীগের প্রস্তাবে, বৃটিশ শাসকদের কাছে দেয়া প্রস্তাবে। আর তা হয়েছিল ব্যাপক আলোচনার পরে ১৯৩০ সালের দিকে বৃটিশ শাসকেরা সহ হিন্দু-এথনিক জনগোষ্ঠিরা সহ মিলিত সভায় রাজি হয়েছিল।

ভারত শাসন আইনঃ
“ভারত শাসন আইন” মানে হল, বৃটেনের বৃটিশ সরকার ১৮৫৮ সালে প্রথম নিজেরাই বৃটিশ-ইন্ডিয়া এই কলোনির উপর সরাসরি শাসন কক্তৃত্ব তুলে নিয়েছিল। মানে হল প্রথম ১০০ বছর বৃটিশ-ইন্ডিয়া শাসিত হয়েছিল বৃটিশ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে। হা ঠিক তাই!  সিপাই বিদ্রোহ (১৮৫৭) সামলাতে না পারার জন্য সেবার বৃটিশ সরকার তা অধিগ্রহণ করেছিল।  আর তা আইন সম্মত করতেই জারি করেছিল প্রথম ভারত শাসন আইন ১৮৫৮ ভারত । এরপরে এতে সংশোধনী এসেছিল ভারত শাসন আইন ১৯১৯।  আর এরপর সর্বশেষ সংশোধনী এসেছিল ১৯৩৫ সালে।  এই ১৯৩৫ সালের সংশোধনীতেই ধর্মভিত্তিক প্রার্থী ও ভোটার নির্বাচন ব্যবস্থা পাস হয়।
এতো গেল ইতিহাস আইনের কথা।  একবাক্যে শেষ করে দেই। যেকোন দেশ-রাষ্ট্রে যদি এমন ধর্ম বা কোন এথনিক ভিত্তিতে প্রার্থী-ভোটার আলাদা করে নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করা হয় তবে  সেদিন থেকেই ধরে নিতে হবে যে ঐ দেশ ঐ এথনিক ভিত্তিতেই দেশটা ভাগ হয়ে যাবে ক্রমশঃ।  আর সেতাই হয়েছিল ১৯৪৭ সালে। তবে এটা দ্বিতীয় বোকা (দেশ ভেঙ্গে যাবে তা না বুঝে) পদক্ষেপ। প্রথম পদক্ষেপ ছিল রামমোহন রায়ের – অখন্ড ভারতের সবাইকে আগে ব্রাহ্মে ধর্মান্তর করে নিয়ে পরে ধর্মীয় জাতিবাদ রাষ্ট্র কায়েমের বোকা চিন্তা। যেটা ১৮৭২ সালের আর সকলকে ব্রাহ্মে ধর্মান্তর প্রকল্প ব্যর্থ হয়ে গেলে হিন্দুত্বদের ভিত্তিতেই ভারত কায়েমের দিকে রওয়া দিয়েছিল কংগ্রে দল ১৮৮৫ সালে যার জন্ম!

সারকথায়, এই হল  ধর্মভিত্তিক প্রার্থী ও ভোটার নির্বাচন ব্যবস্থা  নির্ধারিত পরিণতি! রাজনীতি ও  ইতিহাস আগে জানেন বুঝেন এরপর মুখ খুলেন!

বাংলাদেশকে আরেকবার দেশভাগের বিভিক্তির পথে – বিএনপি ও জামায়াতঃ 
বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ দেরকে রাজনীতির মৌলিক দিক ও ইতিহাস বিষয়ে পড়াশুনা করার আহবান রাখছি অনেকদিন থেকে। কিন্তু কে শুনে কার কথা!
এমনকি এটাও বলেছি ভাল একাদেমিশিয়ান বা কনসালটেন্ট  (এক বা একাধিক) রেখে নেন। একেবারেই গোপনে আড়ালে তিনি থাকেন কোন অসুবিধাই নাই। অন্তত কেবল সর্বোচ্চ নেতা ও নীতি নির্ধারকদের কয়েকজন এমন কিছু তিন-চার জন কিংবা একা সর্বোচ্চ নেতাকে তিনি পরামর্শ দিবেন  এমন করলেই তো হয়।  কিন্তু কী আর বলব হতাশ হওয়া ছাড়া?

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু এক আজিব শব্দ। এটা ষোল আনা এক হীনমন্যতা -মূলক শব্দ। না, যাদেরকে বলা হয় তারা নন। বরং যারা বলেন এটা তাদেরই হীনমন্যতার প্রকাশ। গত ১৯৪৭ সাল বা তারও আগে থেকে মুসলমানদের মনে এই সাংস্কৃতিক আধিপত্য, এই অত্যাচার চাপিয়ে দিয়ে রেখেছে জমিদার-হিন্দু শাসক! কোন ইস্যুতেই হিন্দুরা যত যাই করুক তারা একেবারে পবিত্র ও নির্দোষ অনুমান করে নিতেই হবে!! কেন?
না তারা হল ভিকটিম! কিসের ভিকটিম বা মজলুম? এবার এক কল্পিত বয়ান তারা তৈরি করে রেখেছে যার বৈশিষ্টগুলোঃ
১। হিন্দুরাই নাকি মুসলমানদের পুর্বপুরুষ, অতএব মুসলমান তোমরা নিচে পায়ের নিচে যাও! অতএব হিন্দু এই এথনিক জনগোষ্ঠির সব অপরাধই মাফ! মাফের চোখে দেখতেই হবে; পরদাদা-দেরকে যেভাবে দেখা হয়! মোদির সংসদের এমপি এমন কথা তুলেই মুসলমান এমপি দের উপর নিজ জাত-শ্রেষ্ঠত্ববাদ জাহির ও প্রতিষ্ঠা করে থাকে যে, পাবলিকলি হিন্দু এমপি সেটা প্রতিষ্ঠার তর্ক করছেন!   অনেক ভিডিও ক্লিপ বা রিপোর্টিং নেটে পাওয়া যায়।
২। পুর্ব-পাকিস্তান থেকে হিন্দু এথনিক জনগোষ্ঠির এই অংশ ১৯৪৭ সালে দেশত্যাগ করে ইন্ডিয়া চলে গেছেন। এতে একইভাবে ইন্ডিয়া মানে পশ্চিমবঙ্গ থেকেও বঙালি মুসলমানেরাও এসেছেন। কিন্তু দেশত্যাগ ইস্যুটাকে এই উভয় দিকটা না দেখে পাকিস্তান থেকে হিন্দু এথনিক জনগোষ্ঠির চলে যাওয়াটার জন্য পুর্ব-পাকিস্তানের মুসলমানেরাই দায়ী – এই বয়ান তারা প্রতিষ্ঠা করেছে। আর এটা ম্নিয়ে প্রশ্ন তুললেই আপনি সাম্প্রদায়িক!
৩। সাম্প্রদায়িক এই শব্দের সারকথাটা হল মুসলমান আপনার এত বড় সাহস, আপনি পায়ের নিচে থেকে জমিদার-হিন্দুর বয়ান অস্বীকার করেন?
৪। একচুয়ালি আমরা জমিদার মানে জমিদার-হিন্দু কথা খুবই পরিস্কারভাবে অই সত্য, ইতিহাসো তাই বলে। আসলে এটাকেই তারা প্রতিশোধমূলক বয়ান একটা খাড়া করেছে যে আম-হিন্দুদের আমরা উচ্ছেদ করেছি। মানে জমিদার-হিন্দু আম-হিন্দু সেজে নিজেকে লুকিয়েছি। অথচ জমিদারি উচ্ছেদের পরে প্রজা মুসলমানের মতই প্রজা হিন্দুও নিজ চাষের সেই জমিরই মালিক হয়েছে সরকারকে খাজনা দেওয়া সাপেক্ষে!
সারকথাটা হলে, মিথ্যা বয়ানের জোরে প্ররবপাকিস্তানের হিন্দু মাত্রই সে মুসলমানদের ভিকটিম বা মজলুম যেন!

তাই, এই পাপবোধ মুসলমানের মনে এমন ভাবে গেথে দেয়া হয়েছে যে সবখানে সে হীনমন্যতায় ভুগে।
যেমন নিজেই শামসুর রহমান এর মত কবি নিজে কবিতা লিখেই স্বস্তি পায় না যে কবিতাটা হয়েছে কিনা যতক্ষণ কোন কলকাতার কবি এর প্রশংসা বা সার্টীফিকেট না দিচ্ছে – এই হীনমন্যতা এতটাই তীব্র ও সর্বত্র!
আর এখান থেকেই সংখ্যালঘু শব্দটা শুনলেই মুসলমান কুকড়ে যায়, নিজের ভিতরে এক বিশাল অপরাধ বোধ নিজেই নিজ মনে ডেকে নিয়ে এসে থাকে! আর এটারই ফয়দা তুলে হিন্দুত্ববাদ!

১। বাংলাদেশের হিন্দু  এথনিক জনগোষ্ঠিকে সংসদে ৬০টা আসন দিতে হবে।
২। সংসদে হিন্দু এথনিক জনগোষ্ঠিকে আলাদা আসন দিতে হবে! এমন আসন দিলে অসুবিধা কী?

রাজনীতি ও  ইতিহাস না বুঝা জামায়াত সবার আগে এই আত্মঘাতি বোকা চিন্তার নেতা। তাদের ধারণা তারা এভাবে উদারতা দেখাচ্ছে। কিন্তু এটা যে তাদের স্টুপিড চিন্তা বাইরে এসে পড়ছে তা আজও বুঝতে পারে নাই। এনিয়ে জামায়াতের নেতা শাহজাহান চৌধুরির ভিডিও বক্তব্য একটা দেখা যায়।
আর আজ একই পথে বিএনপি কে দেখলাম আমরা। হয়ত তারা ভেবেছে তারা বোধহয় পিছিয়ে পড়ছে। তো তারা কেন জামায়াত থেকে পিছনে পরে যাবে। আমি কমবেশি নিশ্চিত এই দুই দলকে গভীর নদিতে ফেলে দিবার জন্য খুবই নরম ও ইনোসেন্ট কিছু বুঝে না নাদানভাবে প্রম্পট করেছে বৃহত্তর মোদি সরকার মানে র-এর লোক বা চিন্ময়-ইসকন পর্যন্ত যারা ছড়িয়ে আছে এরাই। নিজেরা এই ইনোসেন্সি নাদান-অজ্ঞতার মুখোশ পড়ে নিয়ে! নিচে আরটিভি এর রিপোর্ট ও লিঙ্কটা দিলাম!!!

ভারতকে রক্ষাকর্তার খেলা খেলতে দেবেন না, সংখ্যালঘুদেরকে রুমিন ফারহানা

[প্লিজ ভুল করেন না। নিচের লেখাটা লেখকের নয়। আরটিভি তে ছাপা হওয়া বক্তব্য। এটা বুঝাতেই এই প্যারাগ্রাফ অংশ বাদিকে ছোট করেছি।]
“ভারত যেন রক্ষাকর্তার খেলা খেলতে না পারে, সেজন্য দেশের হিন্দু ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সতর্ক করেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, কিছু কিছু দেশ মনে করে ভারত সারা পৃথিবীর হিন্দুদের রক্ষাকর্তা। এই রক্ষাকর্তার খেলা আপনারা খেলতে দেবেন না। সংবিধান আমাদের সমান অধিকার দেয়।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের আয়োজনে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষায় করণীয় শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক।
রুমিন ফারহানা বলেন, সংখ্যালঘুদের নিজস্ব কিছু সমস্যা রয়েছে। সেজন্য সমস্যা সমাধানে সংখ্যালঘু কমিশন এবং সংসদে আলাদা আসনের ব্যবস্থা থাকা উচিত।

তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় ছিল, সংখ্যালঘুদের ওপর সবচেয়ে বেশি অত্যাচার চালিয়েছে। গত ১৫ বছর দেশে কেউ নিরাপদ ছিল না। নীরবে এই অত্যাচার সহ্য করেছে সংখ্যালঘুরা। এই মাটিতে সংখ্যালঘুদের ওপরে অত্যাচার আমরা মেনে নেবো না। ভারতের সঙ্গে মিলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলেও এসময় দাবি করেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।  বৈঠকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, তরুণরা দেখিয়ে দিয়েছে, সংকটের সময় কীভাবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হয়। চার-ছয়মাসে কিছুই পরিবর্তন করা যাবে না। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে পুরনো বাংলাদেশ ফিরে আসবে।
তিনি বলেন, ধর্মের কারণে নয় বরং রাজনৈতিক কারণে অনেকের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সরকারের পক্ষ থেকে চরম বাড়াবাড়ি করা হয়েছে। ধর্মপ্রাণ মানুষ কখনো উগ্র হন না। মেজরিটি আর মাইনরিটি; এই তুলনা আমরা ভুলে যেতে চাই।”

আমার মুল বলাবলি এখানেই শেষ!
আসলে এটাই হল, মোদি বা আরএসএস ও বিজেপির অখন্ড ভারত বানানোর পরিকল্পনা। যেমন দেখেন খুবই বোকাবোকা উপস্থাপনে সংসদে হিন্দুদের জন্য আলাদা আসন করা হল, মোদির যত চেলা আছে র-সহ সবার মাধ্যমে মোদির উপস্থাপনা। দেখেন হাসিনা পর্যন্ত সংসদে ৬০ আসন নিয়ে কোন সাড়া দেয় নাই কখনও। অথচ বিএনপি এবং জামায়াত দুই দলই ইতোমধ্যে মোদির অখন্ড ভারতের পরিকল্পনা খেয়ে বসে আছে। ভেবেছে এতে তাদের কথিত মুসলিম জাতিবাদ পছন্দ করাতে যে গন্ধ লেগে গেছে তা ধুয়ে সাফ হয়ে যাবে। এরা ভারতের মোদির কাছে নিজ গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার জন্য পায়ে গড়াগড়ি করা শুরু করেছে। আমি বুঝিনা এই যদি তাদের ইমান তাহলে তাদের এই কথিত মুসলিম জাতিবাদ  আকড়ে ধরতে কে বলেছিল? তারা তো কোনটাই বুঝে না, পড়াশুনা করেনা।  ভারতের মোদির এক চালেই এরা কুপোকাত, পায়ে লুটিয়ে পড়েছে…????
আর এরপর সংসদে আসন আলাদা না করা পর্যন্ত বাংলাদেশকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করার শ্লোগান তুলতেই থাকবে একথা বলে যে হিন্দু নির্যাতন হচ্ছে!!!!  এসবের কোঙ্খবরই রাখে না বিএনপি-জামায়াত!
ভারতের হাত ধরে ক্ষমতায় যেতেই হবে তাদের এতই মরিয়া! এসব দিকে তাকাবার সময় নাই তাদের!!!!!

এককথায়, মোদি বা আরএসএস ও বিজেপির অখন্ড ভারত বানানোর পরিকল্পনা – এরই প্রথম পদক্ষেপ হল সংসদে হিন্দুদের আলাদা আসন!!!
যারা এটা এখন বুঝতেছে না অথবা আসন্ন ক্ষমতার লোভে কোনদিকে তাকাবার সময় নাই,  এরা বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলই না।  

 

লেখকঃ
গৌতম দাস, রাজনৈতিক বিশ্লেষক

goutamdas1958@hotmail.com

আপডেটঃ   রাত ১১ঃ ২৫   ১৪ ডিসেম্বর  ২০২৪
শেষ আপডেটঃ   ডিসেম্বর  ২০২৪

 

 

 

 

Leave a comment