আমাদের প্রেস সচিব শফিকুল আলম, বেচারা!


সবার আগে সেকুলার শব্দটা কবর দিয়ে নেন; এটা অপ্রয়োজনীয়!
আমাদের প্রেস সচিব শফিকুল আলম, বেচারা!
গৌতম দাস
০৯ ডিসেম্বর ২০২৪
https://wp.me/p1sCvy-5Zk

 

 

 

 

সবার আগে সেকুলার শব্দটা কবর দিয়ে নেন; এটা অপ্রয়োজনীয়!
আমাদের প্রেস সচিব শফিকুল আলম কোন বেচারা নন, অবশ্যই। কিন্তু না হলেও তিনি তাই হয়ে পড়েছেন। মানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এর কথাই বলছি। তাকে এখন বেচারা-ই মনে হয়! গ্রাম দেশের এক প্রবাদে আছে, তাঁতি তাঁত বুনে দিব্বি সেই আয়র উপর আরামে খাইতেছিল; কিন্তু কাল হল মানে সর্বোনাশ হল তাঁর জমি কিনার পরে!  শফিক সাহেব ঢাকায় ‘বার্তা সংস্থা এএফপির বাংলাদেশ ব্যুরো চিফ’ হিসাবে হেসে খেলে তার সময় আরামেই যাচ্ছিল। কিন্তু তিনিও তাঁতির মত জিমি কিনলেন!  আর এখন? এর পরে!!!!

এখন তিনি বুঝতেছেন কী ভুলটাই না করেছেন!! কথিত সেকুলারিজম কেই বাপ ডাকতেছেন! অথচ কোন লাভ হচ্ছে না; তবু কোন কুল্কিনারা বনাই। তিনি সেক্যুলার সংবাদপত্র ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে আহবান বা আশ্রয় করে   উঠে দাঁড়াতে চাইছেন।
এমনকি কোন কোন সংগঠন সেক্যুলার সেই সার্টিফিকেটও বিতিরণ শুরু করে দিয়েছেন তিনি।

“…আসক একটি সেক্যুলার (ধর্মনিরপেক্ষ) গ্রুপ, বছরের পর বছর ধরে যেটির নেতৃত্বে ছিলেন আওয়ামী লীগের একজন অপরাধ স্বীকারকারী এর বর্তমান চেয়ারম্যান হলেন মানবাধিকারবাদী আইনজীবী জেড আই খান পান্না। যিনি স্থানীয় মিডিয়াকে বলেছেন যে তিনি বিচারে গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে রক্ষা করতে আগ্রহী হবেন।”
“….The ASK is a secular group, which for years was headed by an Awami League apologist. Its current chairman is lawyer ZI Khan Panna, a human rights defender who has told local media that he would be interested in defending mass murderer Sheikh Hasina in trials.”

এই হল সার্টিফিকেট বিতরণ। কিন্তু ফ্যাক্টস হল, আইন ও সালিশী কেন্দ্র (আসক) এটা কামাল হোসেন এন্ড গং মূলত এই পরিবারের গড়ে তোলা এক এনজিও। খাঁড়া ভাবে টেক্কা কে টেক্কাই বললে এটা হল, হিন্দুত্ববাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশের হিন্দুদের স্বার্থ [কথিত ভিকটিমের স্বার্থ] দেখতে হবে – এমন চিন্তা কাঠামোতে তৈরি করা  বা দাঁড়ানো এক এনজিও প্রতিষ্ঠান। একে সফট হিন্দুত্ববাদের এক আওয়ামি লীগ প্রতিষ্ঠানও বলা যেতে পারে। অথচ শফিকুল আলম এটাকেই সেক্যুলার  গ্রুপ বলেসার্টিফিকেট দিচ্ছেন আমরা দেখছি। আসলে সেই সেকুলারিজমই হল হিন্দুত্ববাদ চিন্তা কাঠামোর উপরে দাঁড়ানো এক চিন্তা!   আর সেকারণেই এই সেক্যুলার আর হিন্দুত্ববাদের মধ্যে কোন ফারাক নাই!

কিন্তু তামাসাটা হল, প্রেস সচিব শফিকুল আলম এখন তার জীবনের শ্রেষ্ঠ বিপদের মুখোমুখি। কারণ খোদ মোদি সরকার তাঁর হিন্দুত্ববাদ কান্ধে নিয়া জীবনের একবড় বাজিতে নেমেছেন যে চরম মিথ্যা বয়ান দিয়ে হলেও মোদি চাইছেন – “বাংলাদেশে কথিত হিন্দু নির্যাতন হচ্ছে” – এই ডাহামিথ্যা বয়ানটাকে যেভাবেই হোক প্রতিষ্ঠা করবেনই!!! [এই মিথ্যা বয়ানটা প্রতিষ্ঠা করতেই মোদি চিন্ময়- ইসকন নাটক বাংলাদেশে নামিয়েছেন। ]  আর এদিকে চিন্ময়কে বিসদৃশ্যভাবে কোলাকুলি করে থ্যাঙ্ক জানায় (পরে চিন্ময় গ্রেফতার হলে পরে) সে ভান ও ভনিতার  প্রতারক (imposter) এবার দাবী করছে যে চিন্ময়েরও এমন মিথ্যা বয়ান হাজির করার অধিকার আছে!  হিন্দুত্ববাদের জজবা তুলে আঙুন লাগানোর অধিকার তো মোদির অবশ্যই আছে তাই না???? কী বলেন?
আর এখন শফিকুলের দায় হয়ে উঠেছে কথিত বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতন নিয়ে  মোদির ডাহা প্রপাগান্ডার বিরুদ্ধে লড়াই করে ইউনুস সরকারকে রক্ষা করা।

আমি নিশ্চিত শফিকুল আলম সাহেব জীবনেও চিন্তা করেন নাই যে কথিত এই সেক্যুলারিজম টা কী? এটা খায় না মাথায় দেয় – এনিয়ে কখনও গভীর ভাবে উল্টাপাল্টে দেখতে গেছিলেন!  এমনকি হিন্দুত্ববাদ এটাই বা কী জিনিষ? এটাই তেমন গভীরে নেমে তাঁর দেখা হয় নাই! এএফপির ব্যুরো প্রধান হতে বা সে জীবনে এসব কখনও এত গুরুত্বপুর্ণ হয়ে আসেই নাই!
যেমন ধরেন এই কথিত সেকুলারিজম এটা আমেরিকান কনষ্টিটিউশনে নাই। বরং উলটা ধর্ম পালনকে নাগরিক অধিকার মনে করে রাষ্ট্র। দুনিয়ার তিনটা রাষ্ট্র এমন শয়তানি সেক্যুলারের কথা বলে। বৃটিশ, ফরাসী রাষ্ট্র আর ইন্ডিয়াতেই এই শয়তানি আছে। তিনটারই উদ্দেশ্য মুসলমান কোপানো!  তাই এথেকে অর্থহীন দাবী রাষ্ট্র থেকে ধর্ম আলাদা করতে হবে!  যে শয়তানির চিহ্নটাই হল ১৯২৩ সালের পরে তুরস্কের কামাল তুলে কামাল কিয়ার সেকুলার!
অথচ খো বৃটিশ রাষ্ট্রটাকেই দেখেন, এটা এংলো-ক্যাথলিক ধর্মীয় জাতিরাষ্ট্র। ক্যাথলিক মানে ক্রিশ্চানিটির মূল অর্থডক্স ভার্সানের পরের বড় মাজহাব হল ক্যাথলিক ক্রিশ্চান ধারা। এখন যে সে ক্যাথলিক হলে হবে না।  বৃটিশ রাজ-পরিবার যে ধারা বা ব্যাখ্যার ক্যাথলিসিজম মানেন অনুসরণ করেন সেই ক্যাথলিক মানে এংলো বা ইংলিশ রাজার অনুসৃত ক্যাথলিকই হতে হবে। আর এই এংলো-ক্যাথলিক ক্রিশ্চানিটি ধারার ধর্মের প্রধান বা গুরু হলেন বৃটিশ রাজপরিবারের প্রধান (রাজা বা রাণী)। আবার এই রাজা-রাণীই হলেই বৃটিশ রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক বা সাংবিধানিক প্রধান! তাহলে এবার বৃটিশ রাষ্ট্রটা আসলে কী দাড়ালো?
আর এই বৃটিশ রাষ্ট্রটাই সেকুলারিজম ফেরি করতে এসেছে? দাবী করছে রাষ্ট্র থেকে ধর্ম আলাদা করতে হবে?????
আমার মনে হয় না শফিকুল আলম কখনও এতদুর তলায় হাত দিয়ে দেখেন নাই যযে সেকুলার জনিষটা কী??
আবার দেখেন ভারতের বেলায়। এতা মনে করার কারণ আছে যে ১৯৪৯ সালে ভারতের কনষ্টিটুশন রচনার সময় নেহেরু-গান্ধী জানতেন তারা হিন্দুত্ববাদ – এর উপরে একটা টোপর পরিয়ে ঢেকে ঢুকে একটা ভারত রাষ্ট্র খাড়া করতে যাচ্ছেন। যেটা আসলে হিন্দু-ধর্মীয় জাতবা নেশন বোধ এর উপর দাঁড়ানো এক হিন্দুধর্ম ভিত্তিক জাত-রাষ্ট্র। এক হিন্দু রিপাবলিক! তাই সযত্নে সেক্যলার শব্দটা কোথাও কনষ্টিটিউশনে আনেন নাই।  এটা আসলে ধুর্ত কিন্তু বোকা ইন্দিরা গান্ধীর কাজ। তিনি ১৯৭৬ সালে এই সেকুল্যার শব্দ ভারতের কনষ্টিটিউশনে প্রথম ঢুকিয়েছেন – বাংলাদেশ স্বাধীনহবার পরে মানে বাংলাদেশকে সেকুলার বলে ল্যাজ কেটে দিবার পরে!

তাহলে সেকুলারিজম ধারণাটাই সৎ নয়? সদ -নয়? কোন সদ-অর্থ কীঃ
এই নকল বা ইসলাম কোপানী সেকুলার ধারণার বাইরে অবশ্যই একটা সদ-অর্থ এমন ধারণা আছে।
যারা এনিয়ে একাদেমিক গভীরে নামতে চান তাদের জন্যঃ 1648 westphalia  ended the 30 years war  – এধরণের শব্দগুলা লিখে গুগল সার্চ দিতে পারেন।
এতে যা যা আসে সে সব আপনার সামর্থ ও সময়ে যা কুলায় পড়ে বুঝবার চেষ্টা করতে পারেন।
ইউরোপে এক গৃহযুদ্ধ বা ধর্মযুদ্ধ বা যা আসলে খ্রিশ্চানিটির ভিতরেরই নানান ব্যাখ্যা বা ফেকড়ার যুদ্ধ হয়েছিল চলেছিল ১৬১৮-১৬৪৮ এই ত্রিশ বছর; কোথাও কোথাও যা আশি বছর ধরে চলেছিল। আর  ওয়েস্টফিলিয়া জার্মানির এক শহরের নাম যেখানে ১৬৪৮ সালে বসে এই গৃহযুদ্ধের পরিসমাপ্তি টানা হয়েছিল বা খুজে পাওয়া গেছিল। কিন্তু কী সেই ফর্মুলা???

ধরা যাক কোন মুসলমান রাজা তিনি যে ফেকড়া-মজহাব বা ব্যাখ্যা-ধারার [interpretation] অনুসারি সেই রাজা কী কেবল তার মতই অনুসারি মুসলমান প্রজাকেই বেশি ফেবার করবেন, বেশি সুবিধাদি দিবেন? মানে বাকি প্রজাদের তুলনায়? ফেকড়া-মজহাব এর ভিত্তিতে প্রজাদের মধ্যে বৈষম্য প্রতিষ্ঠা করবেন?

এই হচ্ছে মূল তর্কটা।
আর “ওয়েস্টফিলিয়া ১৬৪৮” সম্মেলন কীসের ভিত্তিতে সব গৃহযুদ্ধের অবসান করেছিল?
সেতা বুঝে নেওয়া খুবই জরুরি।
সমাধানটা ছিল আসলে খুবই সহজ। আমি উদাহরণে মুসলমান রাজা বললেও ইউরোপে এটা ছিল খ্রিশ্চানিটি। তবে সবার ক্ষেত্রেই এক। সমাধানটা ছিল, রাজা বা শাসক যে ধর্মের যে ফেকড়া-মজহাব এরই অনুসারি হন না কেন যেকোন ফেকড়া-মজহাব অনুসারি সব প্রজাকেই তিনি বৈষম্যহীন ভাবে দেখবেন বা সুবিধাদি দিবেন বা আইন করবেন।  ফেকড়া-মজহাব নির্বিশেষেই শাসন পরিচালনা করবেন।  এটাই বৈষম্যহীন শাসন – এটাই যেকোন অধিকার ভিত্তিক (মানে ধর্ম বা জাতভিত্তিক জাতিবাদি নয়) রিপাবলিকেরও মৌলিক কথা!

কাজেই বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বৈষম্যহীন কথাটার তাতপর্য এখন জুলাই-আগষ্ট বিপ্লব বা ৫ আগষ্ট বিপ্লবের মধ্যেই উঠে এলেও এর তাতপর্য অনেক গভীরে!
যেমন ধরেন ওয়েস্টফিলিয়ার ঐ সমাধান বাইরে থেকে ওতা শুধু খ্রিশ্চনিটির সমাজের মধ্যে প্রযোজ্য তা একেবারেই নয়।
যেমন রাজা,শাসক বা প্রধানমন্ত্রী শুধু খ্রিশ্চানিটির ফেকড়া-মজহাব এর প্রশ্ন নয় যেকোন ধর্মের যেকোন পরিচয়ের নাগরিকের প্রতি বৈষম্যহীন আচরণ করবেন এমন সমাধান তো এখান থেকে টানা যায়। এজন্যই আমি বলি এটা অধিকার ভিত্তিক রিপাবলিক; জাত-ধর্ম ভিত্তিক নয়। এতা সম্ভব। এটাকেই ক্লাসিক্যাল অর্থে রাষ্ট্রে নাগরিক সাম্যতা (অনেক সময় এটা শুধু ‘সাম্য’ লিখা হয়) বা রাজনৈতিক সাম্যের রিপাবলিক – বলে বুঝতে হবে। মজার কথা এটাই হল বাস্তব ও ক্লাসিক্যাল সেকুলার ধারণা।   আরও তাতপর্য হল এটা এই রাজনৈতিক সাম্য  বাস্তবায়ন করতে রাষ্ট্রের কনষ্টিটিউশনে সেকুলার বলে (আসলে মুসলমানবিদ্বেষী) কোন শব্দ রাখারও দরকারই নাই।

আমি নিশ্চিত এত গভীর জায়গা থেকে শফিকুল আলম চিন্তা করেন নাই আগে!
অসুবিধা নাই। এখন থেকে যেটা জেনে রাখলেন, অবশ্যই তা আগামিতে কাজ লাগবে!

সেক্যুলার মিডিয়া বলে কিছু নাইঃ
আসলেই নাই, সেকুলার মিডিয়া সেটা আবার কী?

কিন্তু তিনি লিখেছেনঃ

প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা আশা করি, শীর্ষস্থানীয় সেক্যুলার ও উদারপন্থী সংবাদপত্রগুলো সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে কথিত সহিংসতার ঘটনাগুলো নিয়ে তাদের নিজস্ব তদন্ত করবে……”।

এমন বাক্য লিখে তিনি আসলে নিজেকেই বোকা বানিয়েছেন। তিনি যা বলতে ছেয়েছেন তা হল বৈষম্যহীনতা; বৈষম্যহীন সাম্য এভাবে সকলের রাজনৈতিক অধিকার। কিন্তু তার এই সেকুলার এর অর্থ হয়েছে বৃটিশ, ফরাসি বা ভারত রাষ্ট্রগুলোর বিশেষ করে ভারতীয় ইসলামবিদ্বেষ এর হিন্দুত্ববাদ যেটাকে এরা সেকুলার বলে ঢাকা দিয়ে চলতে চায় সেই সেকুলারিজম হয়ে দাড়িয়েছে। বা দাড়াবেই। তাই সোজা পথ এই কথিত শব্দটাই ব্যবহার না করা। রাজনৈতিক অধিকারে সাম্য বা শুধু ছোট করে সাম্য – এই শব্দে প্রকাশ করাটাই অনেক ভাল। যাতে হিন্দুত্ববাডেড় খপ্পরে না পড়তে হয়। আর হিন্দুত্ববাদের বিরোধী লড়াইয়ে “রাজনৈতিক সাম্য” এর পক্ষের লোক হওয়া, এটাই তো হতেই হবে।  বৈষম্যহীনতার পক্ষে ধারণা স্বচ্ছ রাখতে হবে!
যারা মোদির পক্ষের মিডিয়া বা প্রতিষ্ঠান তারা হিন্দুত্ববাদী এভাবে তাদেরকে চিহ্নিত করাই ভাল নয় কী!  মানুষের সমান অধিকারের পক্ষের মিডিয়াও বলতে পারেন; এটাই তো “রাজনৈতিক সাম্য” এর পক্ষের মিডিয়া!  ধর্ম, এথনিক পরিচয়, পাহাড়ী-সমতলি, নারী-পুরুষ, সাদা-কালো চামড়া ইত্যাদি যেকোন বিভাজন ও বৈষম্যমূলক চিন্তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অধিকারে সাম্য! এটাই আপনি সম্ভবত বলতে চেয়েছিলেন!
কিন্তু অসতর্কতায় বারবার এটা হিন্দুত্ববাদের কবলে ও তাদের পকেটে চলে যাচ্ছিল! কনসেপ্ট পরিস্কার রাখা এজন্য সব পেশার লোকের জন্যই খুব গুরুত্বপুর্ণ!
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম কে জানাই 
তাঁর সকল লড়াইয়ে সফলতা, এই  শুভ কামনা!  হিন্দুত্ববাদ – এই হিটলারিজমের বিরুদ্ধে লড়াই অবশ্যই কঠিন!

 

 

 

লেখকঃ
গৌতম দাস, রাজনৈতিক বিশ্লেষক
goutamdas1958@hotmail.com

শেষ আপডেটঃ  দুপুর   ডিসেম্বর  ২০২৪    

 

One thought on “আমাদের প্রেস সচিব শফিকুল আলম, বেচারা!

Leave a comment