তরুণ উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের কান্ড!
গৌতম দাস
২৯ নভেম্বর ২০২৪ সন্ধ্যা ০৭ঃ ১৬
https://wp.me/p1sCvy-5Tb
সব দল ও অংশীজনের সঙ্গে বসে দেশের উত্তেজনা সমাধানের আশা মাহফুজ আলমের
ইউনুস সাহেবের চোখে বুঝাবুঝিতে যিনি শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক মাস্টারমাইন্ড এমনকি বিল ক্লিনটনের সামনে যাকে এভাবে ইউনুস সাহেব এভাবে পরিচয় করিয়েছেন তিনি হলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম!
তিনি বর্তমানে কোন মন্ত্রণালয় বিহীন মন্ত্রী (উপদেষ্টা)। মানে তিনি হচ্ছেন রাজনৈতিক উপদেষ্টা তাই কোন একটা মন্ত্রণালয়ের তিনি নন – এমনই একটা অর্থ এখানে উহ্য আছে। তা হতেই পারে এটা কোন ইস্যু না।
কিন্তু গতকালের প্রথম আলোর এক শিরোনাম হল, “সব দল ও অংশীজনের সঙ্গে বসে দেশের উত্তেজনা সমাধানের আশা মাহফুজ আলমের“।
এমনিতেই অংশীজন খুব বিপদজনক বা উলটাপালটা ব্যবহারের শব্দ। এর চেয়েও এটা পেটি-এনজিও-কর্তা যারা অনেক সময় শব্দের অর্থ তাতপর্য যথেষ্ট বুঝাবুঝি না সেরে পশ্চিমের শব্দ ব্যহার করে ক্ষতিকর বা আত্মঘাতি কাজ করে ফেলেন। এটা ইংরাজি [stakeholder] স্টেক-হোল্ডার (মানে সংশ্লিষ্ট যাদের স্বার্থ আছে এমন স্বার্থ-জনদের) থেকে পশ্চিমা নিয়েছে। যার রূট আবার জুয়ার বোর্ড সংশ্লিষ্ট। জুয়ার আসরে প্রবেশ ও বসতে গেলে আগে কয়েন বা টিকেট কিনতে হয় যা অনেক সময় ক্যারামের গুটির মত প্লাস্টিকের চাকা বা কয়েনের মত হয়। আর তা নিয়ে এবার তা থাক থাক করে সাজিয়ে জুয়ার আসরে পাসে নিয়ে বসতে হয়। এভাবে সাজিয়ে বসাটাই স্টেক আর জুয়ারি ব্যক্তিটা হল এর মালিক বা স্টেকের মালিক বা হোল্ডার। এ’অর্থে জুয়ায় অর্থলগ্নি করাটারই স্টেকহোল্ডার হওয়া।
এরই কাছাকাছি এমনই আরেক শব্দ আছে। সেটা হল, অংশীদারি নেয়া বা পিপলস পার্টিশিপেশন [people’s praticipation] বা জনগণের অংশগ্রহণ। মানে প্রশাসনে ‘জনগণের অংশগ্রহণ’ – আমলার বদলে জনপ্রতিনিধি কর্তৃত্বে প্রশাসন। তবে সাবধান এটা হল খায়েশের কথা। বাস্তব এর কথা নয়। পিপলস পার্টিশিপেশন এই শব্দটা এনজিও-আঁতেল [বদিউল আলম মজুমদার, ডঃ তোফায়েল আহমেদ ধরণের ব্যক্তিবর্গ ] এদের আবিস্কার এরশাদের আমলে ৪৬০ উপজেলা চালু করাকে কেন্দ্র করে। কিছুই না বুঝেই এরা – আমলা সরিয়ে জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা এই শ্লোগানের আড়ালে ‘পিপলস পার্টিশিপেশন’ ঘটাতে যাচ্ছেন মনে করেছিলেন। আর এরই পরিণতি হচ্ছে আজকের দলবাজি শুধু না একেবারে দলীয় ক্যাডার দিয়ে সাজানো প্রশাসন। (বিএনপিরও আছে তবে সর্বোচ্চটা হাসিনার) আমলা প্রশাসন আর এমপি-দের তান্ডবের প্রশাসন। যার জেরে ইউনুস সরকার এখন হয়রান; আমলাদের কাকে ছেড়ে কাকে কোন পদে বসাবে – আজ পর্যন্ত তারা ডিসি বদলের কাজে হাত-ই দিতে পারেন নাই।
কাজেই অংশি- বলে এসব মুখস্ত বিদ্যায় সবখানে মুখস্ত শব্দ ‘অংশীজন’ বলে যত্রতত্র ব্যবহার না করাই ভাল বলে আমার মনে হয়। অংশী – এটুকু শুনলেই তাই আমি সতর্ক হয়ে যাই!
গত ১৯৮৩-৮৪ সালে ডঃ তোফায়েল আহমেদ ছিলেন ঢাবি’র পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশনের শিক্ষকমাত্র। কনসালটেন্সি ব্যবসা – বলে কিছু তখনও ঢাকার বাজারে চালু ছিল না। তাই শিক্ষকমাত্র বলছি। অথচ তিনি হয়েগেছিলেন ওয়ার্ল্ডব্যাংক এর স্থানীয় সরকার (মানে উপজেলা) প্রজেক্টের কনসালটেন্ট। আর তাঁর সাথে এনজিওকর্তা জুটেছিল বদিউল মজুমদার ধরণের ব্যক্তিরা। মজার কথা হল, এই ব্যক্তিবর্গেরা আজও জানেনই না যে আমলা শাসন সরিয়ে উপজেলায় চেয়ারম্যান বা জেলায় এমপির কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে দিলেই সেটাতে আমলার খবরদারি সরিয়ে অংশীদারি নেয়া বা পিপলস পার্টিশিপেশন ঘটে যাবে – এই ছিল তাদের বিপ্লবী (এনজিও নেতারা ডমিনেটিংলি প্রাক্তন কমিউনিস্ট বা প্রভাবিত) বুঝ। অথচ আজও তারা জানলেনই না যে আজ আওয়ামি ক্যাডারে ভর্তি তিন জেনারেশনের পুলিশসহ সিভিল প্রশাসন আমরা দেখছি; একে দলবাজি বা ক্যাডার বাজি বলছি – এর ভিত্তি গেড়ে দিয়েছিলেন এরাই! এই “পিপলস পার্টিশিপেশন” ওয়ালারাই!
এখন আসেন মূল প্রসঙ্গেঃ
“দেশের উত্তেজনা” সমাধানের আশা করছেন মাহফুজ আলম! তো এই – দেশের উত্তেজনা – এটা কী জিনিষ? প্রথম আলো লিখছে, ……উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, বাংলাদেশে একধরনের – সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা – আছে। ইসকন ও তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত অনেকে এখানে জড়িয়ে পড়েছেন”।
এখন দেখেন কান্ড! তাহলে “দেশের উত্তেজনা” বলতে এর মানে তিনি বুঝায়েছেন “সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা”। কি সাংঘাতিক! এই জ্ঞানবুদ্ধি দিয়ে রাজনৈতিক উপদেষ্টা থাকা যাবে?
“সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা” মানে কী? চিন্ময়-ইসকন দের ততপরতা এটা কী বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলমানের উত্তেজনা??? নাকি এটা ভারতীয় আধিপত্য গত ১৬ বছরের মতই আবার ভারত বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানোর লোভ দেখিয়ে আগামি ১৬ বছরের ভারতীয় আধিপত্যের আবার এক বাংলাদেশ হবে কী হবে না এরই লড়াই? আর ‘র’ সেই কাজে তাদের অগ্রগামি দল হিসাবে চিন্ময়-ইসকন কে পাঠিয়েছে বলেই এই উত্তেজনা? অর্থাৎ র-এর পরিকল্পনার পক্ষেও আমরা যাব কী যাবো না এর উত্তেজনা এটা – যেখানে, ভারতের পক্ষে লিড নিয়েছে বিএনপি। এসবের সোজা মানে হল, চিন্ময়-ইসকন ইস্যু এটা কোন হিন্দু-মুসলমান বা এর কথিত শব্দ সাম্প্রদায়িকতার নামীয় ইস্যুই না। এটা ভারতের দখল বা হেজিমনির পক্ষ-বিপক্ষের উত্তেজনা এভাবে বলা যেতে পারে।
কাজেই এখানে মাহফুজের সমস্যা বা রাজনৈতিক চিন্তায় মারাত্মক খামতি হল দুইটা। এক. ভারতের বাংলাদেশ দখল বা হেজিমনি প্রতিষ্ঠার পক্ষ-বিপক্ষের উত্তেজনা – এদিকটাকে দেখতে না পেয়ে একে হিন্দু-মুসলমান বা কথিত শব্দ সাম্প্রদায়িকতার ইস্যু বলে চালায় দেয়া। আর দুই. এতে বরং চিন্ময়-ইসকন বা প্রথম আলোরই লাভালাভ হল। কারণ তাদের প্রজেক্ট হল, ভারতের বাংলাদেশ দখল বা হেজিমনি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা এই অপরাধকে লঘু করতে এটা বাংলাদেশের এক আভ্যন্তরীণ হিন্দু-মুসলমান এর লড়াই বা ইস্যু হিসাবে উপদেষ্টা মাহফুজই যদি হাজির করে দেন তাহলে তো ভারতের উপস্থিতি ও হস্তক্ষেপের হাতটাই আড়াল পেয়ে গেল। অর্থাৎ প্রথম আলো এবার ভারতের বাংলাদেশ দখল বা হেজিমনি প্রতিষ্ঠার চেষ্টাকে আমাদের বিরোধিতা ও লড়াইকে আমরা সাম্প্রদায়িকতা করছি বলে কালি লাগায়ে প্রপাগান্ডা শুরু করবে।
এরচেয়েও আরেক ভয়াবহ দিক হল, সাম্প্রদায়িকতা এটা আবার কী?
এককথায় এটা হিন্দুত্ববাদি এক বয়ান, মুসলমান কোপানো বা কোনঠাসা করার জন্য জমিদার-হিন্দু যে ধারণার মূল উদগাতা।
সাম্প্রদায়িকতা এটা কোনদিনই কোন একাদেমিক ট্রার্ম বা বিশ্ববিদ্যালয়ে এনথ্রপলজি ফ্যাকাল্টির কোন ক্যাটাগরি ছিল না, নয়। এটা হিন্দুত্ববাদের আধিপত্য ও এর বয়ানের শব্দ ও ধারণা। যদি মুরোদে কুলায় তাহলে বলতে হবে, এটা কোন সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বলে কিছু নাই বা নয়। চিন্ময়-ইসকন চাইছে একটা এথনিক উত্তেজনা কায়েম হোক! তবে আরও ভেঙ্গে বলা যেত এটা হিন্দু-মুসলমান এই এথনিক-জাত বিষয়ক উত্তেজনা তৈরির অপচেষ্টা। কিন্তু মনে রাখতে হবে এখানে বাস্তবে কোন এথনিক উত্তেজনা তারা তৈরি করাতে চেয়েও পারে নাই। ২৭ নভেম্বর সারা চট্টগ্রামে (আগের দিন পিপি সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংস হত্যা করে উত্তেজনা তৈরি করার পরেও চিন্ময়-ইসকন দের আকাঙ্খা মত আমরা কোন পালটা সহিংসতায় জড়াই নাই। কেবল চার চারটা জানাজা – ব্যাপক লোক সমাগমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে – আর আমরা বুদ্ধিমানের মত সবকিছুর উর্ধে উঠে আমাদের সমস্ত রাগ, ক্ষোভ, অন্তরের রক্তক্ষরণ, দুঃখকে ঐ জানাজার দোয়ার মধ্যে সামিল করেছি; দাফনায় দিয়েছি – যার চেয়ে ইতিবাচক, দায়ীত্বশীল ভাবে ক্ষুব্দ ক্ষোভ কে সামলিয়ে এর প্রকাশ আর হতে পারে না। এভাবেই আমরা আসলে যেটা ছিল ভারতীয় হেজিমনি ঠেকানো – এর সপক্ষে জনগণের লড়াই! তা সম্মুন্নত রেখেছি!
“দুই দলই তাঁকে (ইউনুসকে) ইতিবাচক প্রস্তাব” দিয়েছেঃ
এই বক্তব্য মিথ্যা ও মাহফুজের আত্মহত্যা মূলক কাজ! গত ২৭ নভেম্বর মির্জা সাব ইউনুসের সঙ্গের সাক্ষাত করা নিয়ে খোদ প্রথম আলো যখন রিপোর্ট করেছে,
[ইউনুস-মির্জা] বৈঠকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সংগঠন ‘ইসকন’ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গ ওঠে।
তাঁকে গ্রেপ্তারের কারণও তাঁরা জানতে চান। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দল ও সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করার যে দাবি তুলেছে, এর সঙ্গে বিএনপি দ্বিমত জানিয়েছে;
বরং তারা ইসকনকে আলোচনায় ডেকে শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারকে। বিশেষ করে দুটি শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের
ওপর আক্রমণ, বিভাজন সৃষ্টি ও বিদ্বেষ ছড়ানোর বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলেছে বিএনপি।
এর সোজা মানে হল, মির্জার বেইমানির দায়ভার প্রথম আলো নিতে চায় নাই; যদিও প্রথম আলো মির্জার এই বক্তব্য-অবস্থানের বেনিফিসিয়ারি, তা সত্বেও। সারকথায় মির্জা সোজা চিন্ময়-ইসকন দের পক্ষ নিয়েছেন। গিয়ে ওদের মুক্ত করে দিতে দাবী করেছেন। এমনই বিএনপির ক্ষমতায় যাবার লোভে ভারতের দালালি ও চাটাচাটি! অর্থাৎ মির্জা আসলে আপোষ করতে প্রস্তাব রেখেছেন অথচ মাহফুজ আলম দাবী করছেন তারা নাকি ইতিবাচক প্রস্তাব রেখেছেন!!!!!
কেন?
কেন এই লুকোছাপা? মাহফুজ কাকে লুকাতে চাইছেন?
ইউনুস সরকার যে চিন্ময়-ইসকন ইস্যুতে মির্জার বিপরীত অবস্থানে সেটা তো সরকারের চিন্ময় কে গ্রেফতার করার সাহস দেখানোই শুধু না – এই গংয়ের ব্যাংক হিসাব তলব পর্যন্ত চলে গেছে সরকার – আর ওদিকে পিপি আলিফকে খুনের মামলার আসামির দের খুঁজে বের করে পুলিশের কাস্টডিতে নেয়া ইত্যাদি অনেক ভিতরে হাত দিয়ে দিছেন। যদিও এখনও তা যথেষ্ট নয় বা আসল জায়গায় সরকার পৌছায় নাই, আরও যেতে হবে। তবু প্রশাসন যা ইতোমধ্যে করেছে তা মির্জার অবস্থানের ১৮০ ডিগ্রি উলটা দিকে। কাজেই এসব কাজ-অবস্থান ও সরকারের ততপরতা তো ইউনুস সরকারের একশন মানে আপনি মাহফুজ যে সরকারের অংশ – সুতরাং এর বাইরে বা উলটা প্রলেপ দেয়া কোন বক্তব্য ত আপনি দিতে পারেন না। তাহলে আপনি কাকে লুকাতে বা সেভ করাতে চাইছেন? আবার, কেঁচো খুড়তে গিয়ে সাপ বের করে আনার মত করে বলছেন – “শুধু ইসকন ইস্যু নয়, মাজারেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। মাজারে হামলার ঘটনাও সরকারের নজরে আছে”। এসবের মানে কী তত্বগুরুর কোলে উঠবেন না তাকেই হাজতে ঢুকাবেন? নাকি নিজেই ছাটাই হবেন?
সেটা যাই হোকনা কেন আপনি এখানে ইউনুস সরকারের অবস্থানের বহু পিছনে পড়ে গেছেন। মানে রাজনৈতিক উপদেষ্টা নিজেই কাঙ্খিত অবস্থানে থাকতে পারেন নাই। বিপরীত লাইনে চলে গেছেন।
সবচেয়ে মারাত্মক যে আকাম করেছেন – সব দল ও অংশীজনের সঙ্গে বসে দেশের উত্তেজনা সমাধানের আশা- বলছেন; প্রথম যেটাকে হেডিং করেছে। এসবের অর্থ কী?
সব দল মানে মির্জাকেও সাথে নিয়েই (মানে যিনি র-এর পক্ষে বা চিন্ময়-ইস্কনের পক্ষে আগেই পতাকা উড়ায়ে দিয়েছেন) তাকেও সাথে নিয়েই আপনি দেশের উত্তেজনা সমাধানের আশা করছেন????
এটা তো আপনার দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে মানে ভারতের খেদমতে চলে যাবার অপরাধের পর্যায়ে চলে যাওয়া হয়ে গেল! তাই না কী? যে ভারত আধিপত্য চায় আর মির্জা যার সঙ্গি এদের সাথে আপনি কী আপোষ করে নিবেন????
ষ্পষ্ট করে বললে আপনি সরকারের মাঠের একশনে প্রকাশিত অবস্থানের বাইরে চলে গেছেন।
মির্জাদের সাথে আপনি (বা সরকার) একসাথে থাকার পৌছানোর পথ বের করতে পারেন কিনা সে নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে এ অবস্থায় এনিয়ে প্রসঙ্গ তুলে কথা বলতে যাওয়াটাই তো আলগা মাতব্বরি; যার সমাধান আপনার হাতে এখনই নাই; কাজেই এনিয়ে কথা বলতে যাবার আপনার কী প্রয়োজন?
আপনি আসলে পলিটিক্স কী তা বুঝা – পলিটিক্যাল হওয়া, পলিটিক্যাল উপদেষ্টা ইত্যাদির অযোগ্য হবার দিকে নিজেকে নিয়ে তুলছেন; ঠেলে দিয়েছেন!!! আমরা জানি না এর পিছনে কী হেতু!
যদিও আমরা জানি না আপনি নিজেকে এখন সংশোধিত করে নিবার সুযোগ পাবেন বা তা আদৌ নিবেন কিনা! আসলে এই আউলানো দশা-পরিস্থতি!
আগামি রোববার সকাল থেকেই দেশের অবস্থা কোন দিকে যাবে এমন বহু সিদ্ধান্ত দিতে হবে এর আগেই, এই সরকারকে!
লেখকঃ
গৌতম দাস, রাজনৈতিক বিশ্লেষক
goutamdas1958@hotmail.com
আপডেটঃ নভেম্বর ২০২৪
শেষ আপডেটঃ ২০২৪

