পড়াশুনা না করা রাজনীতিবিদ এর দিন শেষ!
গৌতম দাস
২৫ আগষ্ট ২০২৫
https://wp.me/p1sCvy-6vT
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্য যুদ্ধ বিশ্বে প্রভাব
বোমা ফেটেছে! কিন্তু তবু হুঁশ নাই!
শত প্রমাণ দিলেও বিশ্বাস করে নাই একদল লোক / রাজনীতিবিদ যে, বাংলাদেশের উপর ইন্ডিয়ান আধিপত্যের দিন আর নাই, সেসব নাই হয়ে গেছে। কিন্তু মনের বাঘ থেকে গেছে। আর সেই সাথে ট্রাম্পের আমেরিকা আর ইন্ডিয়াকে বরকন্দাজ রেখে ও থাকার জন্য বিশেষ সুবিধা দিয়ে বিনিময়ে বাংলাদেশের উপর ইন্ডিয়ার প্রভাব বিস্তারের কারবার আর করবে না, এসবও ছেড়ে দিয়েছে অনেক আগেই। কখন থেকে? নিশ্চিতভাবেই এক. হাসিনার উতখাত আর দুই. ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতি প্লাস অন্যান্য কিছু নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসীন হবার পর থেকে অন্তত!
কিছু পরগাছা পোকা আছে ‘এটুলি’ বলে আঞ্চলিকভাবে, এরা পশুর গায়ে লেগে থাকে সহজে খসে বা ঝড়ে পরে যায় না, লেগেই থাকে আর রক্ত চুষতে থাকে। “ইন্ডিয়ান প্রভাব বাংলাদেশের উপর থেকেই আছে ফলে ইন্ডিয়াকে তেল মেরে চলতে হবে” – এই হল সেই এটুলি ধারণা! এমন ধারণা-মনের কিছু রাজনৈতিক নেতা ও তাদের দল বাংলাদেশে আছে যেমন বিএনপি আর জামায়াত! এদের দলের উপর এটুলি হয়ে লেগে থাকা ধারণা আছে তাদের মনে যে, ইন্ডিয়ার কোলে উঠে বসে থাকতে হবে এই চিন্তা পয়দা হয়ে আছে সেখানে। এমন ধারণার সবচেয়ে বড় হয়ে লেগে থাকা রাজনীতিবিদ হল এখন বিএনপির তারেক জিয়া আর জামায়াত এর টপ তিন নেতা; সাথে অবশ্য কমবেশি আরো অনেকেই আছে। আর ওদিকে ঠিক একই ভাবে আছেন মোদি সাব – যিনি ভেবেই গেছেন যে উনি “এখনও রাজা আছেন” – বাংলাদেশের উপরে এই ভাব ছড়িয়ে বসে থাকা ব্যক্তিটা ছিল (ছিল বলতে হচ্ছে কারণ তিনি নিজেই এখন জেনে গেছেন তিনি আর নাই ) নরেন্দ্র মোদি। ট্রাম্পের নির্বাচনের আগে থেকেই মোদি এবং সাথে হাসিনাও বিরাট আশা নিয়ে ট্রাম্পের জিতা দেখতে বসে ছিলেন যে এবার তাদের আকাঙ্খী বরপুত্র ট্রাম্প জিতে আসতেছেন। উনি এলেই মোদি বাংলাদেশের উপর হারানো সাম্রাজ্য বা আধিপত্য ফিরে পাবেন ফলে ইউনুসকে দেখায় দিবেন, উপড়ে ফেলবেন ইত্যাদি!
এই আওয়াজ এতই তীব্র ছিল যে হাসিনাও তারা চোরা অনুসারীদের মনোবল বাড়াতে একই সুরে গান ধরেছিলেন যে, ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে পরে লীগ ও হাসিনার চোর গংদের ভাগ্য আবার খুলবে! তারা নাকি আবার বাংলাদেশের ক্ষমতায় ফিরে আসবে!!!!!
কিন্তু হায় দিন আর কাটে না, তাদের প্রবল কামনার আকাঙ্খাও সত্য হয় না! ফলাফল? ফলাফল নিম্নচাপ!!! ট্রাম্প ক্ষমতায় আসীন হবার পর আমাদের এ-অঞ্চল থেকে ট্রাম্পের প্রথম ভিজিটির হন মোদি কারণ, তিনি আর ধৈর্য রাখতে পারছিলেন না। কিন্তু ফলাফলে তাতেই ইন্ডিয়ার সব স্বপ্ন-আকাঙ্খা ভেঙ্গে পড়া শুরু হয়ে যায়। মোদি তবু বিশ্বাস করতে পারছিলেন না এই ভেঙ্গে পড়া নিজ চোখে দেখেও। ততোধিক দুরবস্থা তার সাঙ্গপাঙ্গোদের এমনকি তাতে লীগ / হাসিনারও!
সবশেষ একেবারে মুকখে মারা বোমাঃ
সবশেষে ট্রাম্প একলাই নিজ-ফয়সালা ঘোষণা করে দেন যে আমেরিকায় ইন্ডিয়ান রপ্তানির উপর ধার্য শুল্ক হবে ৫০%। এই হল সেই মুকখে মারা বোমা!!!
কারণ এবার আর ট্রাম্পের আমেরিকার ইন্ডিয়ার প্রতি নীতি-মনোভাব আর মোদি থেকে লুকায় রাখার সুযোগে থাকলেন না, মোদি সবটাই হারালেন। ট্রাম্পেরও সব উদাম হয়ে গেল!
গত ২০০৬ সালে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট (বাবা বা সন্তান বুশ) জর্জ বুশ কংগ্রেসের আমলে ইন্ডিয়া সফরে এসেছিলেন। গত শতকের ষাটের দশকের পর্ কোন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট সেই প্রথম এসেছিলেন ইন্ডিয়াতে। আর সেই থেকে শুরু হয় ইন্ডিয়ান রুস্তমি, বাংলাদেশের উপর চোটপাট আর আধিপত্য নিয়ে জেঁকে বসবার খায়েস ও ততপরতা! – মুই কী হনু রে! চিনস আমারে!!! – টাইপের হম্বতম্বি!
পরে এসবের হাত ধরে আমাদের উপরে এসেছিল কুখ্যাত ১/১১! ফলে আরো রুস্তমি ইন্ডিয়া-রাজ কায়েম করে ছেয়ে ফেলা!! আর তা ইন্ডিয়ান র-এর একেবা্রে বাংলাদেশের সেনা সদরে বসে অফিস খুলে বসা পর্যন্ত ঠেকেছিল! আর কী লাগে?
আর এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দল কে ছিল বা কী হয়েছিল অর্থে, সেটা ছিল বিএনপি আর সেই সাথে ততোধিক খারাপ অবস্থায় ঝড় বয়ে যাওয়া অবস্থার দল জামায়াত – এই দুই দল! সাধারণ ভাবে অবশ্য ইসলামি দল মাত্রই এই দুর্দশায় পড়েছিল!!
অথচ সেই বাংলাদেশের সেনা সদরে জেঁকে বসা ইন্ডিয়ান র ও বসানোর কারিগর হাসিনা সমুলে উতখাত হয়ে গেল ৫ আগষ্ট ২০২৪ সালে। কিন্তু তবুও এদুই দল তারেকের বিএনপি আর জামায়াত এখন আরো জোরে সরে সেই ক্ষতবিক্ষত ইন্ডিয়ার ধরেই ক্ষমতায় যেতে হবে বলে আরো শক্ত বিশ্বাসে বসে আছে!! জামায়াত নিজ ঘাড়ের উপর “প্রামাণিকের হিন্দু জোট” কান্ধে নিয়ে হাঁটছে তো হাঁটছেই! এ কোন তামাসা? সব তামাসাই তামাসা!!! নাকি মোদির এক ক্যাশিয়ার গৌতম আদানির অর্থ কী এতই সুস্বাদু বা ক্ষমতাবান????
যার মানে হল, যে তাঁকে গুষ্টিশুদ্ধ তছনছ করে দিল, বউ-সন্তান নিয়ে গেল তাকেই বিএনপি-জামায়াত ভক্তিভরে সালাম দিচ্ছে শুধু না তারই কোলে উঠে আশ্রয় খুঁজছে!!!! কেন?
এছাড়াও, সর্বশেষ অবশ্য অল্প কিছু জেনারেলও এই পথে! তাদেরকেও মোদির বরকন্দাজ হতেই হবে! হাসিনা নাই তাই নিজেদেরকেও এগিয়ে এসে খেদমতে লাগতে হবে!
একেবারে মূল কারণ পড়াশুনা না করা রাজনীতিবিদ এরাঃ
একালের মানে চলতি শতকের [২০০১ +……] শুরু থেকেই দুনিয়া আর আগের মত নাই। অবশ্য এটা সবাই দেখতে পাবে না যদি না এনিয়ে পড়াশুনা কিছু থাকে! এর গোড়া বা রুট-ফ্যাক্টস হল – গ্লোবাল রাজনীতি আর গ্লোবাল অর্থনীতি নতুন করে মোঁচড় নিয়েছে, ১৯৪৫ সালের পরে আবার। যদিও আসলে সেখানে মূল নিয়ামক হল কেবল – গ্লোবাল অর্থনীতি – আর তাথেকে অনুষঙ্গ হিসাবে গ্লোবাল রাজনীতিও সাথে এর সব পুরানা নিয়মকানুনও! আর এদিকটা বুঝতে গেলে এবার পড়াশুনা লাগবেই! এককথায় বললে পড়াশুনা না করা রাজনীতিবিদ এই চলতি শতকে একেবারে অচলই হবে!!! এমনকি শুধু রাজনীতিবিদই না নিজেকে বড় মনে করা সব একাদেমিশিয়ান / অধ্যাপকও অচল হবে!
বিএনপি ও জামায়াত এই দুইটা দলই এমন অবুঝের ফাঁদ পড়েছে! বলে বুঝিয়ে দিলেও বুঝতে পারছে না।
শুধু তাই না; অবস্থা এখন এরকম যে এতদিন “কট্টর চীনবিরোধিতা দেখিয়ে চলা” খোদ মোদিই এখন চীনের কোলে উঠে বসেছে! কিন্তু এসব দেখেও তারেক বা তাহের দের হুশ আসছে না! আসলে তারা কিংকর্তব্যবিমূঢ়! কী করার আছে কী করতে হবে কিছুই বুঝছে না! এমন অবস্থায়!
তাহলে রাজনীতিকদের পড়াশুনা বলতে ঠিক কী বুঝাতে চাইছিঃ
এর সোজা মানে হল, সরাসরি এখনকার চীন ও আমেরিকান প্রেসিডেন্টের নীতি-পলিসি খুঁটিয়ে রিড করার যোগ্যতা। বিশেষতঃ ২০১৩ সাল থেকে চীনের সবকিছুর নীতি-পলিসি! মনে রাখতে হবে চীন আবার তার এমন সমস্ত পলিসিওগুলো সাজিয়েছি কিন্তু খোদ আমেরিকাকে দেখে – অন্তত ১৯৪০ সালের পর থেকে উত্থিত গ্লোবাল নেতা আমেরিকাকে দেখে স্টাডি করে! যাই হোক, নীতি-পলিসি খুঁটিয়ে রিড করার যোগ্যতা – যেটা বলেছি সেটা মিনিমাম! আর সবচেয়ে ভাল হবে যদি ১৯৪০ এর দশক থেকে আমেরিকান নিজ গ্লোবাল উত্থান সম্ভব হওয়ার পিছনে কী শক্তি কাজ করেছিল সেটার একটা কম্পিলিট স্টাডি আর বুঝাবুঝি সমাপ্ত করতেই হবে। এখানে মনে রাখতে হবে, আজকের চীন নিজ রাষ্ট্রীয় সমস্ত নীতি-পলিসি ঠিক করার জন্য এই স্টাডি আর বুঝাবুঝি গবেষণাতেই অন্তত ১০টা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা সেন্টার খুলেছে। যাদের সংগৃহিত বুঝাবুঝি এটাই তারা নিজ দেশের পার্টিকে (চীনা ব্যবস্থায় তাদের কমিউনিস্ট পার্টিই সর্বসর্বা) সরবরাহ করে যাচ্ছে যাতে শি জিন পিং এবং সংশ্লিষ্টরা নিজ রাষ্ট্রের জন্য সঠিক নীতি-পলিসি ঠিক করতে পারে। এজন্য তারা অনুমান করে ফেলতে পারে আগাম যে আমেরিকান এরপরের পলিসিগুলো কেমন হতে পারে আর সেক্ষেত্রে চীন রাষ্ট্র কী সিদ্ধান্ত নিবে!!!
যাই হোক, আমার এখানে সারকথাটা হল, আমাদের রাজনীতিবিদ / একাদেমিশিয়ানদেরে এনিয়ে পড়াশুনায় প্রবেশ করতে হবেই পুরানা সব চিন্তা ঝেড়ে ফেলে – যাতে গ্লোবাল এই চেঞ্জ বা পাস ফিরে শোওয়ার মত পালাবদলের এই কালে চীন-আমেরিকান প্রভাব / সিদ্ধান্তের প্রভাব বাংলাদেশের উপর কেমন হবে তা আন্দাজ / অনুমান করতে পারতে হবেই। এটা লাগবেই, এছাড়া নেতৃত্ব অচল হবেই! নেতা নিজে না পারলে অসুবিধা নাই যোগ্য-দক্ষ লোক ভাড়া করেন! কিন্তু নিজের মফস্বলি আন্দাজ দিয়ে পথ চলার দিন শেষ হয়েছে! একথা আমি নিজে অনেক বড় বড় টপ নেতাকে সরাসরি বলেছিও! মনে হয় না তাদের গায়ে লেগেছে বা নুন্যতম কিছু বুঝেছেন! আসলে আমার কথা থেকে তাঁরা কী আমল করেছেন তা তাদের ততপরতা দেখেই বুঝা যায়!
মূলকথাটা হল এটা তাদেরকে নিজেই বুঝতে হবে! দু-একটা মাথুর টাইপের বড় র-এর এজেন্ট ধরা বা খাতির রেখে কোনই কাজ হবে না।
আচ্ছা র-এর কথা থাক! খোদ মোদির অবস্থাই দেখেন!
এবার ট্রাম্প যখন অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের নীতি নিয়ে মোদির সাথে কথা চলেছে বা তুলেছেন তখন মোদির ব্লান্ডার বা মস্ত আকামটা লক্ষ্য করেন!
মোদি ছুটে গেলেন রাশিয়ার পুতিনের কাছে। অজিত দোভালকে পাঠালেন। আর তাতে পুতিন একটা বিবৃতি দিলেন মোদির পক্ষে, আর ট্রাম্পের বিপক্ষে! বোকা মোদি হাততালি দিয়ে উঠলেন! কারণ, পুতিন বলেছিলেন, কোন দেশ কার থেকে বা অন্য কোন দেশের মালামাল বাণিজ্যে সামিল থেকে কোথা থেকে কত মালামাল আমদানি-রপ্তানি করবে সেটা তার স্বাধীন সিদ্ধান্ত! এখানে ট্রাম্প অন্য রাষ্ট্রকে ফাঁদে ফেলে জোর খাটিয়ে কেনা-বেচা করতে বাধ্য করতে পারেন না। মানে পুতিন বলতেছিলেন, ইন্ডিয়ার রাশিয়ার উপর আমেরিকার অবরোধে ভেঙ্গে সস্তার তেল কিনাটা জায়েজ ছিল।
কিন্তু তাতে কী হল? পরিণতি কী? ইন্ডিয়ায় সস্তায় রাশিয়ান তেল কিনে তা আবার পরিশোধন করে রপ্তানি করার কথাটা সারফেসে আলোচনার টেবিলে এবার সরাসরি উঠে এল! আর তাতেই ট্রাম্প এবার ইন্ডিয়ার রাশিয়ান তেল কেনা – আমেরিকান ডলার /বাণিজ্য অবরোধ ভেঙ্গে কিনার অভিযোগে মোদির উপর বাড়তি শুল্ক ৫০% এ নিয়ে ঠেকিয়ে দিলেন!
এখন গ্লোবাল আইনগত দিক থেকে দেখলে ইন্ডিয়া অবশ্যই স্বাধীন আর আমরা সবাই তা মানব যে, সে কোন দেশ থেকে কী আমদানি-রপ্তানি করবে এটা ইন্ডিয়ার সার্বভৌম সিদ্ধান্তের ব্যাপার। আর এতে কেউ চাপ দিলে সে অন্যদিকে মানে অন্য দেশের দিকে যেদিকে বেশি সুবিধা পাবে চলে যাবে! কিন্তু সাথে এর বিপরীত কথাটাও আছে। আমেরিকার ট্রাম্প তিনিও তো স্বাধীন – তিনিও তাঁর ক্রেতা কোন দেশের উপর কী শুল্ক ধরবেন এব্যাপারে স্বাধীন! অর্থাৎ মূককথাটা হল, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ইত্যাদি রাজনৈতিক অধিকারের কথা তুলে দুই রাষ্ট্রের এই স্বার্থদ্বন্দ্বের কোন ফয়সালা নাই, হবে না।
কিন্তু এতে নিট যেটা পরিণতি হবে সেটা হল, অন্তত ১৯৮০ সাল থেকে চালু ও গড়ে উঠা আন্তর্জাতিক / গ্লোবাল বাণিজ্য ব্যবস্থাটা ভেঙ্গে পড়বেই! এতে আমার বা যারা বুঝে তাদের কোনই সন্দেহ নাই। অর্থাৎ ট্রাম্পের এই বিশেষ বাড়তি যথেচ্ছাচার শুল্কনীতি – এটা বর্তমান আমেরিকান নেতৃত্বের চলমান গ্লোবাল বাণিজ্য ব্যবস্থাটাকেই ভেঙ্গে অচল করে দিবে। যার সোজা মানেটা হল, এর বিকল্প হিসাবে চীনা নেতৃত্ব বা প্রভাবের বিকল্প একটা বাণিজ্য ব্যবস্থা জায়গা করে নিবার পথটাই গোয়ার ট্রাম্প করে দিচ্ছেন! আর এতে আমেরিকা ছাড়া বাকি দুনিয়া মানে মুখ্যত ‘গ্লোবাল সাউথ’ আর ইইউ এর সমর্থন সেদিকেই ক্রমশই সবল হয়ে হাটবেই! মূল কারণ, একালে এখন এসে প্রতিটা রাষ্ট্রই একমাত্র টিকে থাকতে পারে ব্যাপক অবাধ আমদানি-রপ্তানি আন্তঃরাষ্ট্রীয় বাণিজ্য করেই! দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে কিছু এক্সপেরিমেন্টেরও পরে (আইএমএফ-ভিত্তিক) ১৯৮০ সাল থেকে আমেরিকার নেতৃত্বে যে গ্লোবাল বাণিজ্য ব্যবস্থাটা গড়ে উঠেছিল সেটাই এখন চীনের নেতৃত্বে (ঢেলে সাজানো আইএমএফের জায়গায় ব্রিকসের আইডিয়ায়) পুনর্গঠিত হতে শুরু করবেই ক্রমশ!
কিন্তু আমাদের মূল প্রসঙ্গ এটা নয়ঃ
আমাদের মূল প্রসঙ্গ হল, আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব (সাথে একাদেমিশিয়ানেরা) কী এরপরেও ইন্ডিয়ান আধিপত্য যেন আগের মতই আছে এই যুযুর ভয়ে ইন্ডিয়া-লেপ্টে থাকার পক্ষে বোকা বুঝ নিয়েই থাকবে? নাকি পরিস্কার দেখতে পাবে যে আমেরিকা-ইন্ডিয়ান কোন নুন্যতম বিশেষ খাতিরের সম্পর্কটাই এবার নাই হয়ে গেছে! অন্তত নিকি হ্যালি করুণ আবেদনটা দেখেও তো তাদের বুঝা উচিত, নাকি? আর কতদিন বাংলাদেশের রাজনীতিবিদের পড়াশুনা ছাড়া কথিত ইন্ডিয়ান হেজিমনির ভুতের ভয়ে পথ চলবে?????
গৌতম দাস
রাজনৈতিক বিশ্লেষক
goutamdas1958@hotmail.com
আপডেটঃ ২৮ আগষ্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ০৭ঃ ৫৪
[এই লেখাটা এর আগে প্রথম ভার্সানে ছাপা হয়েছিল দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় আমারই লেখা এক কলাম হিসাবে, গত ২৪ আগষ্ট ২০২৫। আজ এখানে সে লেখাটারই এক আসল বা নিজ বর্ধিত এক নয়া এডিটেড ভার্সান এখানে আমার নিজ সাইটে ছাপা হল। বলাই বাহুল্য এখানে শিরোনামটাই শুধু নতুন নয়। এমন অনেক প্রসঙ্গই নয়া এখানে যোগ করা হয়েছে যেটা পত্রিকার ভার্সানে ছিল না। আসলে পত্রিকার কলাম ভার্সান মানে যেটা যুগান্তরের এডিটরিয়াল পলিসি সঠিক মনে করে সেই ভার্সান; এভাবে দেখাটাই সঠিক হবে। আর তুলনায় এটা আমার নিজ পরিবর্ধিত-এডিটেড ভার্সান মনে করলেই সঠিক হবে বলে আমার বিশ্বাস! ]


Global Economy + political economy…..
LikeLike