সৌদি-পাকিস্তান সামরিক চুক্তির কী ক্রমশঃ ‘মুসলিম ন্যাটো’ জোট হয়ে উঠতে পারবে


সৌদি-পাকিস্তান সামরিক চুক্তির কী ক্রমশঃ মুসলিম ন্যাটো জোট হয়ে উঠতে পারবে
গৌতম দাস
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫   ভোর রাত ০২ঃ ৩৭
https://wp.me/p1sCvy-6xS

 

 

সৌদি-পাকিস্তান চুক্তি:

 

গ্লোবাল প্রভাব ফেলতে পারে এমন এক সামরিক চুক্তিতে সই করেছে সৌদি আরব ও পাকিস্তান গত বুধবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫।  ইতোমধ্যেই তাতেই দুনিয়াজুড়ে বিশেষত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক স্বার্থের দেশগুলোতে ও আমাদের এ অঞ্চলেও ব্যাপক হইচই পড়ে গেছে। অনেক পশ্চিমা মিডিয়া একে পৃথিবীর ভূমিগঠন কাঠামোতে কয়েকটা ইট খুলে নেওয়ার মতো ‘টেকটনিক’  [Tectonic] পদক্ষেপ বলেছে।

কী সেই চুক্তিঃ
আনুষ্ঠানিকভাবে এর নাম ‘কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি’ যা ইংরাজিতে ‘স্ট্রাটেজিক মিউচুয়াল ডিফেন্স এগ্রিমেন্ট’ [Strategic Mutual Defense Agreement (SMDA)]। এখানে ‘মিউচুয়াল ডিফেন্স’ [Mutual defence] শব্দগুলো সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ। এককথায় এর অর্থ হচ্ছে, কোনো শত্রুর দ্বারা চুক্তির এক রাষ্ট্র আক্রান্ত হলে সেটা অপর রাষ্ট্র নিজের ওপর আক্রমণ বলে মনে করবে, আর নিজ বন্ধুকে রক্ষায় মোকাবিলায় এগিয়ে সক্রিয় পদক্ষেপ নেবে; দুই. এতে দুই বন্ধুর শত্রুর বিরুদ্ধে যৌথভাবে লড়বে।

‘মিউচুয়াল ডিফেন্স’ শব্দটার অর্থ খুবই গভীর। আর তা হওয়ার পেছনে বা এই আইডিয়ার উপরই দাঁড়িয়ে জন্ম নিয়েছিল ও আছে  সেই ১৯৪৯ সালে জন্লম নেয়া থেকে ন্যাটো (নর্থ আটল্যান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন NATO)। ন্যাটোর জন্ম দলিলের বিখ্যাত হল  ‘অনুচ্ছেদ পাঁচ’। এটা লেখা হয়েছে উপরে ‘মিউচুয়াল ডিফেন্স’ ধারণার আলোকে। দুনিয়াতে সেটাই প্রথম মিউচুয়াল ডিফেন্স ধারণার ব্যবহার। বইয়ের ভাষায় একে ‘কালেকটিভ ডিফেন্স প্রিন্সিপালও’ বলা হয়ে থাকে। মোট ৩২ সদস্যের ন্যাটোর কোনো এক সদস্য ন্যাটোর বাইরের কোন দেশ দ্বারা আক্রান্ত হলে এর বিরুদ্ধে ন্যাটো-সদস্যরা সবাই একসঙ্গে প্রতিরোধে নেমে পড়তে বাধ্য

এ কারণে অনেকেই সৌদি আরব-পাকিস্তানের এই চুক্তিকে মুসলিম ন্যাটো চুক্তির দিকে এটা যাবে এই প্রেরণা থেকে  উচ্ছ্বসিত হচ্ছে; আর ততই এটা ভারতের জন্য হচ্ছে হতাশার। কারণ সৌদির সঙ্গে অপর দেশটা হল পাকিস্তান,  আবার যে পারমাণবিক শক্তিধর! আর পাকিস্তানের অপর পার্টনার সৌদি আরব বলে এর অর্থ হল, সামরিক প্রস্তুতিতে ব্যয়ের ক্ষেত্রে অর্থ আর বড় কোনো বাধা নয়। এই নিয়ে ইংলিশ বিবিসির শিরোনাম হল, ইন্ডিয়ার কাপাকাপি শুরু হয়ে গিয়েছে [Why the Pakistan-Saudi Arabia defence pact is unsettling India]।  আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে কংগ্রেস এটা মোদির ফরেন পলিসির পরাজয় বলে চারদিকে বিবৃতির হৈ চৈ তুলেছে [পাকিস্তান-সৌদি প্রতিরক্ষা চুক্তিতে নরেন্দ্র মোদির ব্যর্থতা দেখছে কংগ্রেস]।
আর সেই সঙ্গে এখন ক্রমশ জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে যে এই চুক্তিতে শামিল হতে চাইবে পুরো মধ্যপ্রাচ্য বাদশাহশাসিত দেশের ‘জিসিসি [GCC] জোটে’র ছয় দেশ (সৌদি ছাড়াও বাকি পাঁচ দেশ-ইউএই আমিরাত, কাতার, কুয়েত, বাহারাইন ও ওমান)। সেই জল্পনাকে আরো উস্কে দিয়েছে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী – তিনি বলেছেন সৌদিদের সাথে চুক্তি করে আমরা তো অন্যদের জন্য দরজা বন্ধ করে দেই নাই। DOOR NOT CLOSED শিরোনামে পাকিস্তানী ডন পত্রিকা সেকথাই লিখেছে। আমেরিকান পয়সায় স্থানীয় থিঙ্কট্যাংক এনজিও চালায় এমন ইন্ডিয়ান ব্রহ্ম চেলানী খুবই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন – সৌদিরা জানত এই চুক্তিকে ইন্ডিয়া নিজের জন্য এক সিকিউরিটি থ্রেট হিসাবে দেখবে / নিবে এরপরেও তারা এদিকে এগিয়েছে” –

“Riyadh knew India would construe the Saudi-Pakistan pact as a direct threat to its security, yet it went ahead,”
Brahma Chellaney, an Indian strategist, posted on X. –  BBC

অনেকে অবশ্য আরেক সম্ভাবনার দিকটা দেখে বলতে শুরু করেছেন যে, এটা হয়তো ইরানকে একঘরে করার সৌদির পরিকল্পনা। না, এটা একেবারেই ভুল ব্যাখ্যা হবে। এটা কার্যত মুসলিম দুনিয়ার রাষ্ট্রগুলোর আন্তঃসম্পর্কের মধ্যে দুর্বলতাগুলোকে বড় করে দেখিয়ে ‘মুসলিম ন্যাটো’ হয়ে ওঠার সম্ভাবনাকে জেনে না জেনে, মুসলমান ফেরকার কথা তুলে নাকচ বা খামোশ করার এক বৃথা চেষ্টা হবে।

তাহলে এমন দুর্বলের বদলে সবল দিকটা কীঃ
সারা দুনিয়ায়  এর নানা ভৌগোলিক অঞ্চলের আন্তঃরাষ্ট্রীয় নানা রাষ্ট্রস্বার্থ দ্বন্দ্ব থাকে, থাকবেই। কিন্তু এসবের বাইরেও তবু সবকিছুর ঊর্ধ্বে দেখা যাবে আবার একটাই ‘প্রধান দ্বন্দ্ব’ থাকবে! যেমন, এখনকার দুনিয়ায় সেই প্রধান দ্বন্দ্বটা হল ‘চীন-আমেরিকার স্বার্থদ্বন্দ্বের বিরোধ’! এগুলো মূলত অর্থনৈতিক স্বার্থের দ্বন্দ্ব – মূল কারণ এক পালাবদল মানে একালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক নেতৃত্বের পালাবদলের কাল এটা। যদিও ক্রমশই এটা সামরিক, কৌশলগত, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ইত্যাদি এবং সর্বোপরি এক নয়া বয়ান হয়ে সব ফ্রন্টেরও দ্বন্দ্ব হয়ে ক্রমশই ছড়িয়ে পড়বে।

আর আমরাও বাকি সব রাষ্ট্রই ক্রমশ এই চীন-আমেরিকা দ্বন্দ্বে নিজ নিজ রাষ্ট্রস্বার্থের আগ্রহে বা বিচারে এ দুই রাষ্ট্রের কোনো একটার স্পষ্ট পক্ষভুক্ত হতে থাকব। অনেকে ইতোমধ্যেই হয়ে গেছি বা আছি। যদিও দ্বন্দ্ব-বিকাশিত হওয়ার বর্তমান স্তরে বা পর্যায়ে পরিষ্কার করে আমাদের-হয় আমেরিকা না হয় চীনের পক্ষে দাঁড়িয়ে যাওয়া – এমনটা এখনই দেখা নাও যেতে পারে। এখন হয়তো দেখা যাবে, একটা রাষ্ট্র এখনই ৫০-৮০ শতাংশ যদি চীনের পক্ষভুক্ত হয়ে গিয়েও তবু পাশাপাশি সে রাষ্ট্র আবার আমেরিকার সঙ্গেও অবশিষ্ট মাত্রার ঘনিষ্ঠতা রাখছে। যেমন পাকিস্তান। পাকিস্তানে চীনা বিনিয়োগ ইতোমধ্যেই ২০ বিলিয়ন ঢুকে পড়েছে, আর তা আগাচ্ছে পাইপলাইনে থাকা বাকি অংশের দিকে সবমিলিয়ে তা ৫০ বিলিয়নের আশপাশে যাওয়ার লক্ষ্যে। পাকিস্তানের ক্ষেত্রে বিশেষ মজার ব্যাপারটা হল এই বিনিয়োগের বেনিফিট ব্যবহারকারী আবার খোদ চীন (একা পাকিস্তান না) নিজেও – আর সেটাই গোয়াদর প্রকল্পকে কেন্দ্র করে (যা শুধু একটা গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্প নয়)। আসলে এটা সাড়ে তিনদিক ল্যান্ডলকড চীন যার আবার পশ্চিমদিক একেবারে সুউচ্চ (হিমালয়) পর্বতমালা দিয়ে ব্লকড। তবু এই পশ্চিম দিকটা দিয়েই পাকিস্তানের সারা বুক চিরে এখন সমুদ্রে ডিপ সি-পোর্টে [গোয়াদর পোর্ট] পৌঁছানোরই অবকাঠামো নির্মাণ করে নেওয়া হয়েছে; যার বৃহৎ ব্যবহারকারী হবে চীন নিজেই। তাই বলা যায়, চীন-পাকিস্তানের সম্পর্ক মূলত অর্থনৈতিক অবকাঠামো বিনিয়োগের উপরে হলেও সব কিছুর উপরে এটা খোদ চীনের স্ট্রাটেজিক স্বার্থ – এক কথায়, চীন নিজ পুবদিকের চীন সাগর ছাড়াও চীন এখন নিজ পশ্চিমদিক দিয়ে সরাসরি আরব সাগরে পৌঁছাতে পারে।

অথচ এতকিছুর পরও পাকিস্তান আমেরিকার হাতও ছাড়েনি; একটু দুর্বলভাবে হলেও সঙ্গেই ধরে আছে। আবার পাকিস্তানের মূল অর্থনৈতিক সম্পর্কের পুরোটাই চীননির্ভর। আবার এই সৌদি-পাকিস্তান সামরিক চুক্তির পর থেকে পাকিস্তান হয়ে গেল মুসলমান জনসংখ্যাপ্রধান রাষ্ট্রগুলোর চোখে রক্ষাকর্তাঃ অন্য ভাষায় হবু ইসলামি ‘ন্যাটোর’ মধ্যমণি।

কেন আমেরিকান পরপর প্রেসিডেন্টরা নেতানেয়াহুর খেদমতগারির প্রতিযোগিতায়ঃ
ইসরাইল ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ফিলিস্তিনিদের জায়গাজমি দখল, তাদের উদ্বাস্তু বানানো থেকে শুরু করে এমনকি ক্রমাগত হত্যা, নির্যাতন করে চলেছে। এর সবই নাকি দখলবাজদের ‘আত্মরক্ষার অধিকারের কাজ’ বলে সাফাই দিয়ে প্রেসিডেন্ট ওবামাসহ সারা পশ্চিমাজগৎ জায়োনিজমকে উসকানি গেছে। এসবই জায়োনিস্ট ইসরাইলের প্রতিষ্ঠা ও বিস্তারের নৃশংস ইতিহাস। বিশ্বযুদ্ধ শেষে বৈশ্বিক নেতা হিসাবে আমেরিকান উত্থান আর ইসরাইল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা একসঙ্গে হাত ধরাধরি করেই চলেছে। এক কথায় ইসরাইলকে প্রটেকশন দিয়ে অন্যের দেশভূমি দখল করে ইসরায়েলের নিজ বিস্তার ঘটানো-প্রটেকটর যেহেতু আমেরিকা, তাই পরিষ্কার করেই বলা যায় যে, দুনিয়া থেকে জায়োনিজমের অবসান ও ইসরাইল রাষ্ট্রের বিলুপ্তি বৈশ্বিক নেতা হিসাবে আমেরিকার পতনের ভেতরই নিহিত। প্রটেকটর আমেরিকার নেতাগিরির পতনের ভেতর দিয়েই একমাত্র ইসরাইলের বিনাশ ঘটতে পারে, তা বলাই বাহুল্য।

আবার আমেরিকার নেতাগিরির অবসানের মানে হল, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক নেতা হিসাবে চীনের উত্থান। এই উত্থানকে ত্বরান্বিত করার ন্তত একটা চাবিকাঠি আবার সৌদি আরবের হাতে আছে। তা হলো, আমেরিকান ডলার বাদে অন্য মুদ্রায় (যেমন ইউয়ানে) সৌদি তেল বিক্রি শুরু করা। কারণ সৌদি তেল বিক্রি যা সর্বোচ্চ তা কেবল আমেরিকান ডলারেই কেনাবেচা হয়। এতে ডলারের কারেন্সি ভ্যালু অটুট রাখার ক্ষেত্রে – একটা বড় ফ্যাক্টর হল কেবল ডলারেই সৌদি তেল বিক্রি করা।

আর এতে আমেরিকান ডলার এক আধিপত্যশীল কারেন্সি হিসাবে বৈশ্বিক বাণিজ্যে আমেরিকার নেতাগিরি টিকে যাওয়ার প্রধান কারণ। আর আমেরিকান ডলার ডমিনেন্সি টিকে থাকা মানে এটাই ইসরাইলের দানবীয় আচরণ দেখানোর শক্তির উৎস। চীনা মুদ্রা ইউয়ানে সৌদি তেল বিক্রি করা শুরু করলেই এর ফলাফলে ডলার দুর্বল হয়ে যাবে আর এতে আমেরিকা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক নেতা থেকে পতন হওয়ার এক বড় ঘটনা হতে পারে সেটা।

কিন্তু সৌদিরা এটা করতে এপর্যন্ত ভয় পেয়ে এসেছে। বরং সৌদি সরকার ভয়ে ভয়ে কাজ করেছে উলটা; সৌদিরা আমেরিকার কাছেই নিজ নিরাপত্তার গ্যারান্টি চেয়ে বসে আছে। এদিকে চলতি মাসে ৯ সেপ্টেম্বর ইসরাইল সৌদি আরবের সীমান্ত দেশ কাতারেই বোমাহামলা চালায়। বলাই বাহুল্য, এটাকে সৌদিশাসকরা আমেরিকান ‘প্রতিরক্ষার আশ্বাসের’ বরখেলাপ গণ্য করেছিল।

এখন সেখান থেকে প্রতিক্রিয়ায় সৌদিরা সরাসরি তেল বিক্রিতে ডলার ব্যবহার বন্ধ করতে পারত। কিন্তু তা কঠোর আর ভারী হয়ে যাবে ভেবে সেদিকে না গিয়ে সৌদি শাসকরা এক তুলনামূলক নরম পদক্ষেপ নিয়েছে – এটাই পাকিস্তানের সঙ্গে ‘মিউচুয়াল ডিফেন্স’ চুক্তি করে বসা।

এদিকে পাকিস্তানের ডন পত্রিকা লিখেছে, এটা দুই দেশের মধ্যকার চুক্তি হলেও এটা জিসিসি সদস্য দেশের মধ্যেও বিস্তার ঘটিয়ে বাকি গালফ দেশকেও একই ‘মিউচুয়াল ডিফেন্স’ চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা নেই। মানে কাতারসহ জিসিসির বাকি দেশগুলোও এ চুক্তিতে একইভাবে সৌদিদের মতো পক্ষভুক্ত হতেই পারে।

কিন্তু তবু অনেকের মনে খচখচ করতে পারে এই ভেবে, এটা তো ঠিক ‘ইসলামি ন্যাটো’-এর মতো হচ্ছে না। কারণ ইরান বা তুরস্ক এতে শামিল নয় বা সেটা হবে কী করে?

আমি এখানে একটা সূত্র বলে দেই। এক্ষেত্রে ইরান মুসলিম দেশের মধ্যে সবার আগে চীনের সঙ্গে পক্ষভুক্ত হয়ে গেছে। আর তা পেরে গেছে বলেই ইরান সাহসের সঙ্গে ফিলিস্তিনির পক্ষে হামাস, হিজবুল্লাহসহ অন্যদের সংগঠিত ও সহযোগিতা করে আসছে। ইরানের তেল কেনার জন্য চীন-ইরান ২৫ বছরের চুক্তি করা আছে।

অতএব, সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তিতে ‘মিউচুয়াল ডিফেন্স’ মানেই পাকিস্তান নিজ আরেক হাতে চীনের সঙ্গে সে যুক্ত-এটাও মনে রাখতে হবে। ফলে ইরানও এতে (আপাতত) পরোক্ষে যুক্ত!

সৌদিদের দিক থেকে এটা হল, আমেরিকাকে দেওয়া হুঁশিয়ারি যে আমেরিকা সংশোধিত না হলে, জায়োনিস্ট রক্ষকের কাজ ত্যাগ না করলে তখন সৌদি শাসকরা সরাসরি ডলারে তেল বিক্রি বন্ধের পথে যাওয়ার কথা ভাববে।

এক কথায় দিন শেষে এটাই দখলদার জায়োনিস্টদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক সর্বোচ্চ পদক্ষেপ হয়ে ওঠার পথে হাঁটবেই।

গৌতম দাস : রাজনৈতিক বিশ্লেষক

গৌতম দাস
রাজনৈতিক বিশ্লেষক
goutamdas1958@hotmail.com

আপডেটঃ   ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫    


[এই লেখাটা এর আগে প্রথম ভার্সানে ছাপা হয়েছিল দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় আমারই লেখা এক কলাম হিসাবে, গত ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫।  আজ এখানে সে লেখাটারই  আরেক বর্ধিত এক নয়া এডিটেড ভার্সান এখানে আমার নিজ সাইটে ছাপা হল। বলাই বাহুল্য এখানে শিরোনামটাই শুধু নতুন নয় বরং এমন অনেক প্রসঙ্গই নয়া এখানে যোগ করা হয়েছে যেটা পত্রিকার ভার্সানে ছিল না। আসলে পত্রিকার কলাম ভার্সান মানে যেটা যুগান্তরের এডিটরিয়াল পলিসি সঠিক মনে করে সেই ভার্সান; এভাবে দেখাটাই সঠিক হবে। আর তুলনায় এটা আমার নিজ পরিবর্ধিত-এডিটেড ভার্সান মনে করলেই সঠিক হবে বলে আমার বিশ্বাস! ]

Leave a comment