মাইকেল কুগেলম্যান মূলতঃ ইন্ডিয়া-হাসিনার এক অদ্ভুত দালাল। গুজব ছড়াচ্ছে এখনও


মাইকেল কুগেলম্যান মূলতঃ ইন্ডিয়া-হাসিনার এক অদ্ভুত দালাল। গুজব ছড়াচ্ছে এখনও
গৌতম দাস
৩০ মে ২০২৫  রাত ২২ঃ ২৭
https://wp.me/p1sCvy-6tu

 

কুগেলম্যান

 

[এই লেখাটায় অনেক ইংরাজি উদ্ধৃতি আছে। এতে বাংলা পড়ুয়াদের ঘাবড়াবার কিছু নাই।  সেক্ষেত্রে  যে স্টাইলে পড়তে হবে তা হল, ইংরাজী শব্দ বা বাক্যগুলো সরাসরি এড়িয়ে বা টপকে গেলে কোন অসুবিধাই হবে না পাঠকের একথা মনে রেখে পরে যেতে হবে। কারণ, পাশেই ঐ ইংরাজিটা বাংলায় লেখা পাবেন। তাই ইংরাজী শব্দগুলো যেন নাই এমন মনে করে আগিয়ে যান। তাতে বুঝতে কোনই অসুবিধা হবে না। ]

এক মাইকেল কুগেলম্যান নিয়ে কথা বলব গত বাইডেনের আমল থেকে এখনও যিনি মূলত ইন্ডিয়াপ্রেমী। সেটা এমন ইন্ডিয়াপ্রেমী যিনি  আদতে মনে করেন –  “আমেরিকার ইন্দো-প্যাসেফিক পলিসি বাস্তবায়িত হতে পারে বাংলাদেশকে ইন্ডিয়ার হাতে তুলে দিলে”।  এককথায় উনার মূল টার্গেট চীনকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ-ছাড়া করা; এটাই আমেরিকার ইন্দো-প্যাসেফিক পলিসির সম্ভাব্য সফলতার পথ; যেটা আরেক ভাষায় বললে, বাংলাদেশকে ইন্দো-প্যাসেফিক পলিসিতে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়ার একমাত্র উপায়।    চীনের সাথে

মাইকেল কুগেলম্যান[Michael Kugelman] এক অদ্ভুত আমেরিকান; তিনি এক আমেরিকান থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক “উড্রো উইলশন সেন্টার” [Woodrow Wilson International Center] এর ফেলো। যেখানে ফেলো মানে হল যে বছরে [salary range for this position is $120-135k] অর্থে নিয়োগপ্রাপ্ত এর গবেষক ও লেখক নিয়োগ। তবে কী নিয়ে গবেষণা (বা গবেষণার নামে কি নিয়ে উনি মেতে থাকবেন) আর লিখবেন এটা নির্ভর করবে নিয়োগদাতা ঐ থিঙ্কট্যাঙ্ক আমেরিকা-রাষ্ট্রের কোন নীতি-পলিসি লাইনের প্রবক্তা। সেই লাইন বলতে আবার এরা নিজেরা ডেমোক্রাট না রিপাবলিক  কোন দলের সমর্থক অথবা আবার কখনও বাই-পার্টিজান বা উভয় দলের মিশানো এক গোষ্ঠি কিন্তু সুনির্দিষ্ট একটা ইস্যু বা চিন্তা-কৌশল লাইনের পক্ষে কাজ করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে গড়ে উঠা থিঙ্কট্যাঙ্ক হতে পারে।
এই বিচারে “উড্রো উইলশন সেন্টার” বা সংক্ষেপে “উইলশন সেন্টার” এটাকে বাই পার্টিজান বলা যেতে পারে। তবে এমন মনে করার কারণ হল, সাধারণত থিঙ্কট্যাঙ্ক মানে হল  এরা আমেরিকার নিজস্ব দাতব্য প্রতিষ্ঠান টাইপের হয়ে থাকে মানে, সরকারী ফান্ড সাধারণত এতে থাকে না। দাতব্য অর্থে পরিচালিত হয়ে থাকে।  কিন্তু  “উইলশন সেন্টার” ব্যতিক্রম; এখানে 4০% ফান্ড সরকারী অনুদান। সম্ভবত সেকারণে যখন যে প্রেসিডেন্ট থাকে সে সাধারণত এই থিঙ্কট্যাংক  প্রভাবিত হয়েই থাকে।
আরো সুনির্দিষ্ট করে এবার বললে, “উইলশন সেন্টার” কম করে হলেও গত প্রায় ১৫ বছর ধরে ওবামা আমল (২০০৯-১৭, দুই টার্ম) থেকেই একট ইস্যু নিয়ে কাজ করছে যেটাকে [China containment] বা চায়না ঠেকানো পলিসি বলা যেতে পারে।  যে পলিসির সবচেয়ে বড় দুর্বল দিক বা বয়ানে খামতির দিকটা হল, এর বাস্তবায়ন সম্ভব কিনা এদিকটা তলিয়ে দেখতে ততধিক অনাগ্রহ।

এবার সরাসরি আসি। কুগেলম্যান হল বাইডেনের আমলে যখন ইন্দো-প্যাসেফিক গান সর্বোচ্চ স্বরে উঠেছিল সে আমলের সাউথ-ইস্ট এশিয়ায় বাইডেনের কোর লোক। যার এসাইনমেন্ট ছিলঃ
১। বাংলাদেশকে চীন ছাড়া করে ইন্দো-প্যাসেফিক কৌশল – এই উদ্যোগের সদস্য বানানো।
২। এতে তাদের কোর ইন্টারেস্ট হল আলটিমেটলি বাংলাদেশকে ভারতের কোলে তুলে দেয়া।
৩। কিন্তু তারা প্রথম এবং আপাতত কৌশল হিসাবে প্রকাশ্যে উলটা পথে হেটেছিল। ইন্ডিয়াকে দূরে রেখে বাংলাদেশ স্যাংশন আর মানবাধিকারের বুলি আওয়াজ উঠিয়েছিল। যাতে হাসিনার বিরুদ্ধে বিরোধীদলকে চেগানো যায়। এতে হাসিনাকে বিপদে চাপে ফেলে তাকে বাধ্য করে ইন্দো-প্যাসেফিক কৌশল – এই উদ্যোগের সদস্য বানানো পথে ঠেলে দিতে পারে। এই অবস্থাটাই ঘটেছিল ২০২৩ সালের জুনের পরে। বাইডেন তখন থেকে ইন্ডিয়ার মাধ্যমে (ইন্ডিয়াকে সচল করে) হাসিনার সাথে ডিলিংয়ে চলে যায়। আর বিরোধী দল মা-বাপ হীন দিশেহারা হয়ে পড়েছিল।
এখন থেকে ৭ জানু নির্বাচনে ওয়াকভার এর ইঙ্গিত দিয়ে কেটে পরা শুরু করেছিল বাইডেন প্রশাসন। আর তা থেকে ২০২৪ এর ৭ জানু নির্বাচনের পরে ৫ ফেব্রুয়ারী বাইডেনের হাসিনাকে পাঠানো চিঠি যেখানে বলা ছিল যে, বাইডেন প্রশাসন হাসিনার সাথে একসাথে কাজ করবে।

এখন উপরে যে এসাইনমেন্টের কথা বললাম এর সত্যতা, নিশ্চয়তা-প্রমাণ কীঃ
এর প্রমাণ হল, কুগেলম্যানকে ফলো করেন। ফলো করা বলতে???

ফলো বলতে এই তিন-বছরেরও বেশি সময়ে কুগেলম্যান প্রতি সপ্তাহে আমেরিকান ফরেন পলিসি  পত্রিকায় যে সাপ্তাহিক কলাম লিখে গেছেন, সেগুলো ফলো করেন।
কিন্তু না এই তিন চার বছরের ফলো মানে অনেক হ্যাপা, অনেক লেখা পড়তে হবে। না তা করতে হবে না। আমি সেখান থেকে বেছে তিন-চারটা আপনাদেরকে পড়তে বলব। আর তাতেই আপনি বাইডেন-ল্যু-কুগেলম্যানদের পুরা পরিকল্পনাটাই জানতে পারবেন।

১। কুগেলম্যানের একেবারে প্রথম আলোতে লেখা একটা কলাম, লিখেছিলঃ

লেখা: মাইকেল কুগেলম্যান।    প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২১, ২০: ০১

এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য খারাপও হতে পারে

এটা ছিল ১০ ডিসেম্বর ২০২১ আন্তর্জাতিক  মানবাধিকার দিবসের পরের দিন; বাইডেন প্রশাসন তার বাংলাদেশ (সাথে আরো কিছু দেশও ছিল) সরকারের উপর  স্যাংশন আর মানবাধিকার লঙ্ঘণের প্রবল অভিযোগ তুলে এই রাজনৈতিক লাইনের যাত্রা শুরু করেছিল সেদিন থেকে পরের তিন বছর ধরে। যাতে বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলো হাসিনার বিরুদ্ধে রাস্তায় সরব হয়ে উঠে। কিন্তু লক্ষ করেন এই সময়ে লেখা এই কলামে, কুগেলম্যান উলটা সাবধান করছেন বাইডেন প্রশাসন কে যে বাইডেনের এই সিদ্ধান্ত আমেরিকান স্বার্থের জন্য খারাপও হতে পারে!!!!! কেন? কুগেলম্যানের কেন এই উলটা গান?
এটা আপাতত নোট করে রাখেন যে আমাদেরকে এর জবাব পেতে হবে।

২। পরেরটা বেছে তুলে আনছি এক রিপোর্ট যেটা ইউএনবি (UNB মানে হাসিনার প্রিয় আরেক কেনা নিউজ এজেন্সী) থেকে করা আর যেটা অনেক পত্রিকাই আবার ইউএনবি বরাতে ছেপেছিল ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি তে।

“AL retains significant level of support because of success stories, says South Asia policy analyst Michael Kugelman” 

২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি মানে হাসিনার অর্থনীতি যখন মরণ দশায়। দলের লোক আর চোরা ব্যবসায়ীরা যখন নিজেদের চুরির অর্থ ডলারের কনভার্ট করে পালাতে ব্যস্ত। যা শুরু হয়েছল ২০২১ সালে তেলের দাম বাড়ানো কে কেন্দ্র করে ; যা দেশে ডলারের দাম ৮৫ টাকা থেকে ১২০ টাকার আশেপাশে চলে যায়। অথচ এই কুগেলম্যান দেখেন কীরকম উলটা কথা বলছে, দাবি করছেন হাসিনা নাকি সফলভাবে দেশ পরিচালনা করে যাচ্ছিলেন তখন।

লিখছেনঃ
ক)    “We have to keep in mind that the ruling party Awami League has been in power since 2009 and it retains a significant level of support,” [মানে লীগ খুবই গণসমর্থিত দল ও ক্ষমতায় তারা; এটা, সেই ২০০৯ সাল থেকে]   he said, noting that the party has been able to bring success stories on the economic front [অর্থনৈতিক ফ্রন্টে নাকি সফলতায় ছেয়ে ফেলেছে] and in countering terrorism.[আর সেই সাথে জঙ্গিবাদ নির্মুলেও সফলতা দেখিয়ে যাচ্ছে] ” ।

খ)  “Kugelman said that even if someone talks about all the bad things happening in Bangladesh [বাংলাদেশে খারাপ সব কিছু ঘটছে বলে কেউ কেউ বললেও], the bottom line is that there is still a lot for the government in Bangladesh which helps it sustain a significant level of success [শেষ কথাটা হল, এরপরেও বাংলাদেশ সরকার উল্লেখযোগ্য পর্যায়ের সফলতা দেখাচ্ছে] and there are people who see reasons to support it” [ক্ষমতাসীন দলের প্রতি সমর্থন দেখানোর মত ব্যপক জনগণ এখনও আছে].

গ) “Responding to a question, Kugelman said Bangladesh has been a regional success story for its economic growth. ‘It’s a global success story.’ ” মানে কুগেলম্যান বাংলাদেশের স্বীকৃত মুদ্রাস্ফীতি ১২-১৪% হয়ে গেলেও রিজার্ভ নিয়ে টানা পোরেন খেজুর, ছোলার মত আইটেম আমদানি করতেও পারে না এমন অর্থনীতিকে প্রশংসা করে বলছেন, এটাই নাকি হাসিনার গ্লোবাল সাকসেস স্টোরি

ঘ)  Kugelman, however, said the protests launched by the opposition parties “was not a mass protest” but a partisan protest  এটা সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং। অর্থাৎ তখনও ঢাকার মাঠে বাইডেন বাংলাদেশে বিরোধীদের উতসাহ নিয়ে মাঠে নামাচ্ছেন।  আর কুগেলম্যান এই জেগে উঠা হাসিনা বিরোধিতাকে কেমন তুচ্ছ চোখে দেখে বর্ণনা করছেন। বলছেন, বিরোধীদের রাস্তার প্রতিবাদ এটা নাকি গণ-প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ নয়। এটা কেবল দলীয় প্রতিবাদ

অর্থাৎ সারকথায়,    বাইদেন-ল্যু একদিকে বিরোধী দলকে সমর্থন দিয়ে মাঠে নামিয়ে হাসিনার উপর চাপ সৃষ্টি করলেও কিন্তু এই কুগেলম্যান চালাইতেছে উলটা গান – হাসিনার পক্ষে দাড়িয়ে এই ফ্যাসিজমের ক্ষমতাকে প্রসংসা করে চলছেন। মজা না! কারন, এই ২০২৩ সালের জুনেই বাইডেন-হাসিনা রফা হবে। যেটার প্রশংসা করে কুগেলম্যান লিখছেন, বাংলাদেশে এবার ইন্দোপ্যাসিফিক কৌশলে যোগ দিল। 

এবার, সবশেষে,  কুগেলম্যান নিয়ে ৫ আগষ্ট মানে হাসিনা পতনের পরের  আর একটা রিপোর্ট পড়াবো পাঠকদের। সেবার কুগেলম্যান একেবারে ঢাকায় এসে হাজির শুধু না। একেবারে ইন্ডিয়ার পক্ষ খোলাখুলি যুক্তি তুলে ধরা শুরু করেছেন।

দেখেন নিচের রিপোর্টঃ
Kugelman in panel discussion
Bangladesh is going to be under pressure to make choices
Diplomatic Correspondent, Dhaka; Updated: 31 Jan 2025, 17: 59

কুগেলম্যান বলছেনঃ
“A growing number of geopolitical rivalries have been present in Bangladesh. There has been India, China, US, and now Russia is joining in. Bangladesh has historically maintained varying degrees of good relations with all four countries. It is a difficult place to be in because Bangladesh is going to be under pressure to make choices if the Trump administration puts pressure on Bangladesh to do less with China” . হাসিনা উতখাতের পরে সব চায়না নিয়ে গেল!

এবার সরাসরি ইন্ডিয়ার কোলে বসে তিনি বলছেন,
A)  “……If the Trump administration puts pressure on Bangladesh to do less with China, Bangladesh is going to have to respond to that in some way.”

 B) “Michael Kugelman commented that following the fall of the Hasina government, the interim administration appears to be leaning towards China [হাসিনা পড়ার পরে চীন সব নিয়ে গেল]. It remains uncertain how the Trump administration will respond to this shift.

C)Regarding Bangladesh’s relations with India, Kugelman noted, “For India, what’s most concerning now is the Jamaat factor and the Pakistan factor, and particularly Bangladesh’s efforts to to build up a better relationship with with Pakistan.” এখানে এসে কুগেলম্যান যে ইন্ডিয়ার দালাল সেটা আর লুকায়ে রাখতে পারলেন না। তিনি বলছে ইন্ডিয়া জামায়াত ফ্যাক্টর আর পাকিস্তান ফ্যাক্টর নিয়ে উদ্বিগ্ন। 

D) “My sense is that India would like to see an election here sooner rather later. If there is an election anytime in the relatively near future, there’s a good chance that BNP would come back. And I think India might feel that if BNP is serious about ending its alliance with Jamaat, that could create more opportunities for India to actually be comfortable engaging with the government in Dhaka.”

এই শেষে এসে কুগেলম্যান এবার একেবারে কাছাখোলা। ইন্ডিয়া, ওয়াকার আর তারেকের সুরে তিনি সোজা বলে দিলেন – এখনই নির্বাচন [see an election here sooner rather later]।  এবং তথাকথিত জামায়াত ভীতি। 

তাহলে যেকথা দিয়ে শুরু করেছিলাম, কুগেলম্যান হল, ইন্ডিয়ান এজেন্ট যিনি ইন্ডিয়ার হাতে আবার বাংলাদেশকে তুলে দিতে চান। আর এতে এখন মৃত [ট্রাম্প ২.০ এর আমলে কথিত ইন্দো-প্যাসেফিক কৌশল অথবা কোয়াড] হলেও কুগেলম্যান এখনও স্বপ্ন দেখতে ভুলতে রাজি না যে  বাংলাদেশকে ইন্ডিয়ার হাতে তুলে দিলে তাতে ইন্দো-প্যাসেফিক কৌশল অথবা কোয়াড আবার জেগে উঠতে পারত! যদিও মানতেছেন ট্রাম্পের কারণ এসব কিছুই হচ্ছে না। তবুওও তিনি এখনকার ইন্ডিয়ার বাংলাদেশের নীতির পক্ষে আছেন সেটা জানাতে দ্বিধা করছেন না, জানিয়ে চলছেন।
কুগেলম্যান এবার সবশেষে গতকালকে একই ফরেন পলিসি পত্রিকায় তার সাপ্তাহিক কলাম লিখেছেন। সেতার এক বাংলা অনুবাদ কালের কন্ঠ ছেপে দিয়েছে, লিঙ্ক এখানে

মার্কিন সাময়িকী ফরেইন পলিসির প্রতিবেদন : হট সিটে ড. ইউনূস

বলা যায় এটা হল কুগেলম্যান ইন্ডিয়াকে দেয়া সর্বশেষ সার্ভিস – সরাসরি এক ময়থ্যা গুজব যে ইউনুস সাহেবের ক্ষমতা নাকি খুব বিপদে আছে। এটা শতভাগ চাপা পিটানো একটা হাইপ!

শেষ কথাটা হল, এটা অবশ্যই ওয়াকারের জন্য দুঃখের কথা যে তিনি গতকাল থেকে জেনে গেছেন যে বাংলাদেশে তাঁর ইন্ডিয়ার আর বিএনপিকে সাথে নিয়ে গড়া ও করা ততপরতা এটা শুধু ট্রাম্পই অনাগ্রহ বা বিন্দুমাত্র অনাগ্রহীই নয়, খোদ সিআইএ-ও পছন্দ করছে না বলে ওয়াকার ব্লক জানতে পেরে গেছে। বলাই বাহুল্য যেটা একটা হতাশা ডেকে এনেছে তাদের ব্লক মনমানসিকতায়!

 

 

 

গৌতম দাস
রাজনৈতিক বিশ্লেষক
goutamdas1958@hotmail.com

আপডেটঃ ৩০ মে, ২০২৫    রাত ১০ঃ ৪৮
শেষ আপডেটঃ  ৩১ মে, ২০২৫    রাত ১২ঃ ২০

 

3 thoughts on “মাইকেল কুগেলম্যান মূলতঃ ইন্ডিয়া-হাসিনার এক অদ্ভুত দালাল। গুজব ছড়াচ্ছে এখনও

    1. বন্ধ করে দিয়েছে ইউটিউব, দুইটাই। নতুন খুলার চেষ্টা করছি। আগামিকাল সন্ধ্যার পর থেকে পাওয়া যাবে আশা করি

      Liked by 1 person

      1. স্যার এটা খুবই দুঃখজনক। আপনার মতো রাজনৈতিক দুরদর্শীতা এবং বিশ্লেষণ করার মেধা বাংলাদেশে খুব কম মানুষেরই আছে। আপনার ভিডিওগুলো আমি নিয়মিত দেখি। আপনার বিশ্লেষণ শুনলে অন্য সকল ইউটিউবারের ভিডিও বেশ হালকা মনে হয়।

        কিন্তু আপনার চ্যানেল বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনাটি স্পষ্ট করে দিল যে—বাংলাদেশে এখনো স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের কোনো সুযোগ নেই।

        আমি একজন আইটি প্রোফেশনাল। যদি কোন সাহায্যের প্রয়োজন হয়, আমাকে নির্দ্বিধায় জানাবেন।

        Like

Leave a comment